________________
আর-এক রকম । ইন্দ্রভূতি তাঁহার যজমান গৃহে যজ্ঞ সম্পাদন করিতে যাইবার পথে শুনিলেন যে স্বর্গের দেবগণ একজন সন্ন্যাসীর বক্তৃতা শুনিবার জন্য মৰ্ত্যধামে সমবেত হইয়াছেন, তাঁহাদের অঙ্গের জ্যোতিতে মর্ত্যলোক উজ্জ্বল হইয়া পড়িয়াছে । ইন্দ্রভূতি সন্ন্যাসীর নিকট উপস্থিত হইবামাত্র অপরিচিত সন্ন্যাসী তাঁহাকে নাম ধরিয়া ডাকিলেন এবং তাঁহার মনে যে-সব প্রশ্ন বা সন্দেহ ছিল তাহা না শুনিয়াই 'সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগিলেন ও সন্দেহ খণ্ডন করিতে লাগিলেন। বিস্মিত ইন্দ্রভূতি ভক্তিপ্রণত হইয়া কেবলীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করিলেন।
ইন্দ্রভূতির দশ ভাইও মহাবীর স্বামীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং তাঁহাদের মধ্যে তিনজন গণধর হইয়াছিলেন ।
শ্রীবীর-নির্বাণের পূর্ব পর্যন্ত গৌতম 'কেবল' জ্ঞান প্রাপ্ত হন নাই ৷ কারণ মহাবীর স্বামীর প্রতি মমত্বই তাঁহাকে সংসারবন্ধনের মতো বন্ধনে বাঁধিয়া রাখিয়াছিল । এখন সেই একমাত্র বন্ধন ছিন্ন হইবামাত্র তিনি ‘কেবল' জ্ঞান লাভ করেন। মহাবীর স্বামীর নির্বাণের পর তিনি ১২ বৎসর জীবিত ছিলেন এবং সমগ্র জৈন তীর্থের একাধিনায়ক ছিলেন। মহারাজ শ্রেণিক বিম্বিসারের নিকট তিনি পদ্মচরিত [ জৈন রামায়ণ ], মহাপুরাণ প্রভৃতি গ্রন্থ পাঠ করিয়া বুঝাইয়া দিয়াছিলেন ৷ ৫১৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ৯২ বৎসর বয়সে রাজগৃহ নগরে গৌতমের নির্বাণ লাভ হয়। [ অনেকে স্বীকার করেন না যে ইন্দ্রভূতি জৈন ধর্মের অধিনায়ক ছিলেন । তাঁহারা বলেন তিনি ‘কেবল'-জ্ঞান লাভ করিয়া আর কোনও কার্য করিতেন না। মহাবীর স্বামীর অন্য অন্তরঙ্গ শিষ্য সুধর্মা
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org