________________
অধমাগধী ভাষা। বৌদ্ধ ত্রিপিটকের ভাষার নাম পালি ভাষা। কিন্তু বৌদ্ধগণ ইহাকেই ‘মাগধী ভাষা বলিয়াছেন : “সা মাগধী মূলভাসা নরা যায়দিকপ্লিকা। মানুস চ’সসুতালাপা সংৰদ্ধা চাপি ভাসরে।” [ সেই মাগধীই মূলভাষা অর্থাৎ আদিভাষা, যে ভাষায় আদিকল্পের মনুষ্যেরা, এবং যাহারা অন্য কোনও ভাষায় আলাপ শুনেন নাই তঁাহারা, এবং সংবুদ্ধেরা কথােপকথন করিতেন।], অন্য কথায় বলিতে গেলে মাগধী অর্থাৎ মগধ দেশের ভাষাকেই বৌদ্ধগণ আদি ভাষা এবং সর্বসাধারণের ভাষা বলিয়াছেন। অতি প্রাচীন কাল হইতে মাগধী ভাষার যে তিনটি বৈশিষ্ট্য আমাদের নিকট সুপরিচিত [ কর্তৃকারকের একবচনে এ বিভক্তি, তালব্য শ-কারের ব্যবহার এবং ‘র’ স্থানে ল-কারের ব্যবহার ], সেই তিনটি বৈশিষ্ট্যের একটিও পালি ভাষায় রক্ষিত হয় নাই। [ কতৃকারকের একবচনে ‘ও’ বিভক্তি, দন্ত্য স-কারের ও র-কারের ব্যবহার পালি ভাষায় যথানিয়মে দেখা যায়।] ইহার কারণ এই যে সমগ্র ভারতবাসীর নিকট বােধগম্য করিবার জন্য মাগধীর বৈশিষ্ট্য পরিত্যাগপূর্বক ভাষাটির সংস্কার করিয়া লওয়া হইয়াছে। জৈনদিগের ‘অধমাগধী’ নামটির মধ্যেই সংস্কারের ইঙ্গিত দেখা যায়। মগধ - দেশের ভাষার অর্ধেক ও ভারতের অন্য প্রদেশের ভাষার অর্ধেক লইয়া কৃত্রিম উপায়ে এই অধমাগধী ভাষা রচনা করিয়া লওয়া হইয়াছে। যে দেশে মাগধী ভাষা প্রচলিত ছিল সেই দেশেই [ অর্থাৎ বিহার প্রদেশেই ] বৌদ্ধ ও জৈন উভয় ধর্মের প্রথম প্রচার হইয়াছিল বলিয়া মাগধী’ নামটি
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org