________________
ها
বেলগোলা” নামে যে পর্বত আছে, সেই পর্বতে চন্দ্রগুপ্ত জৈনধর্মানুমোদিত “সল্লেখনা” অর্থাৎ অনশন-ব্রত অবলম্বন করিয়া দেহত্যাগ করিয়াছিলেন । ঐ শ্রাবণ বেলগোলা* পর্বতে বর্ত মান অসংখ্য জৈন মন্দির ও জৈন শিলালিপি অদ্যাপি সেখানকার জৈন অভ্যুদয়ের সাক্ষ্য দিতেছে। ঐ সকল মন্দিরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন মন্দির হইল চন্দ্রগুপ্তের নামে প্রতিষ্ঠিত মন্দির। উক্ত শ্রাবণ-বেলগোলা পর্বতটি অদ্যাবধি ধর্মপ্রাণ জৈনদিগের মহাতীর্থস্থান। এখানে পাহাড় কাটিয়া ৫৭৷৷ ফুট উচ্চ একটি নগ্ন জৈন সাধুর প্রস্তর-মূর্তি ৯৮৬ খ্রীস্ট-অব্দে নির্মাণ করা হইয়াছে ৷ এই জৈন সাধুটির নাম গোম্মট ৷ ইনি আদি তীর্থংকর ঋষভ দেবের পুত্র এবং ভারতবর্ষের রাজা ভরতের ভ্রাতা বলিয়া সেদেশে পরিচিত। সন্ন্যাসী হইবার পূর্বে ইহার নাম ছিল বাহুবলি ৷ শ্রাবণ বেলগোলায় গোম্মট-মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কারকল ও য়েনূর পর্বতে আর-দুইটি গোম্মট-মূর্তি উত্তরকালে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ৷ কারকল পর্বতের মূর্তিটি ৪১ ফুট উচ্চ এবং ১৪৩২ খ্রীস্ট-অব্দে প্রতিষ্ঠিত। য়েনূর পর্বতের মূর্তিটি ৩৫ ফুট উচ্চ এবং ১৬০৪ খ্রীস্ট-অব্দে প্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ কালের জলবায়ু ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ্য করিয়া দণ্ডায়মান এই মূর্তিগুলি এবং তত্রত্য পর্বতগাত্রে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য মন্দির ও শিলালিপি আজ-পর্যন্ত দর্শকগণের নিকট কর্ণাট দেশে জৈন ধর্মের অভ্যুদয়-বার্তা এবং গণধর ভদ্রবাহুর মাহাত্ম্য
*‘শ্রমণ' [-জৈন সন্ন্যাসী ] শব্দের বিশেষণের বিকৃত উচ্চারণে “শ্রাবণ” শব্দ নিষ্পন্ন হইয়াছে এবং জৈন নিগ্রন্থদিগের আবাসস্থল মহীশূর রাজ্যের এক প্রান্তে অবস্থিত এই ক্ষুদ্র পাহাড়টির (শ্রাবণ 'বেলগোলা ) নামের পূর্বে বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হইয়াছে ।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org