________________
৬৭৯০
কাশ্যপ-গোত্রীয় ছিলেন এবং গোদাস হইতে ‘গোদাস’ গণ উদ্ভূত হইয়াছিল । এই সকল কথা আমরা কল্পসূত্রের স্থবিরাবলী হইতেই জানিতে পারি । খ্রীস্টীয় পঞ্চদশ শতকে রত্ননন্দী নামে একজন জৈন সাধু ‘ভদ্রবাহু চরিত' নামক যে গ্রন্থ লিখিয়াছেন, তাহা দেখিবার সৌভাগ্য আমার হয় নাই ৷ গ্রন্থখানি প্রকাশিত হইলে হয়তো ভদ্রবাহুর বিষয়ে আরও অনেক কথা জানা যাইত ৷ সংক্ষেপে বলিতে গেলে, ভদ্রবাহুর জীবনচরিত বিষয়ে আমরা যাহা জানিতে পারি, তাহা এই : তিনি মগধ দেশে ‘প্রাচীন’ গোত্রীয় কোনও অজ্ঞাত কুলে খ্রীষ্ট-পূর্ব চতুর্থ শতকে জন্মগ্রহণ করেন ; কিছুকাল রাজগৃহস্থিত জৈন-সঙ্ঘের কর্তৃত্ব করিয়াছিলেন ; সম্ভবতঃ মৌর্য নৃপতি চন্দ্রগুপ্তকে জৈন ধর্মে দীক্ষিত করিয়াছিলেন ; সদল-বলে দাক্ষিণাত্যে শ্রাবণ বেলগোলা পাহাড়ে গিয়া জৈনধর্ম প্রচার করিয়াছিলেন ; এবং ২৯৩ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে সমাধি অবলম্বন পূর্বক ইহলোক ত্যাগ করিয়াছিলেন ।
এখন প্রশ্ন উঠিতে পারে, ভদ্রবাহু কি নিজে কোনও গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন ? ভদ্রবাহুর কালে ভারতবর্ষে কি লিপিবিদ্যা প্রবর্তিত ও প্রচারিত হইয়াছিল? ভারতীয় লিপির [ ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী লিপির ] প্রাচীন পরিচয় আমরা পাই অশোকের শিলালিপি ও স্তম্ভলিপিগুলিতে । অশোকের সময়ের দুই-একশত বৎসর পূর্বে উৎকীর্ণ ব্রাহ্মী লিপিরও আবিষ্কার হইয়াছে । কিন্তু ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী কোনও সুপ্রচলিত লিপির সংবাদ এ-পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশ ও বিশাল ভারতের নানা অংশে আধুনিক যুগে যে-সকল লিপি প্রচলিত আছে সে সমস্তই ব্রাহ্মী বা খরোষ্ঠী লিপির পরিণতি। সুতরাং মনে করা যাইতে পারে যে, ভদ্রবাহুর কালেও কোনও প্রকার লিপি এ দেশে প্রচলিত ছিল। কিন্তু, সে লিপি যে জনসাধারণের
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org