________________
৬৫০
ভাবে শ্রদ্ধা করিয়া আসিয়াছেন। ভদ্রবাহুর নিবাণ-স্থান বা নির্বাণের বিবরণ কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু সব সম্প্রদায়ের সম্মতিক্রমে তাঁহার পরিনিবাণের কাল নির্দিষ্ট আছে। শ্ৰীবীর নিবাণের ১৭০ বৎসর পরে তাঁহার পরিনিবাণ হইয়াছিল। হেমচন্দ্রের পরিশিষ্ট-পর্বে আছে ? | “বীর-মােক্ষা বর্ষ-শতে সপ্তত্যগ্রে গতে সতি।
| ভদ্রবাহু অপি স্বামী যযৌ স্বৰ্গং সমাধিনা।” | [ মহাবীর স্বামীর মােলাভের ১৭০ বৎসর পরে ভদ্রবাহু স্বামীও সমাধি অবলম্বন পূর্বক স্বর্গগত হইয়াছেন।] | জৈনাচার্য হেমচন্দ্রের মতে ৪৬৭ খ্রীস্টপূর্বাব্দে মহাবীরের পরিনির্বাণ ঘটে। এবং তাহার ১৫৫ বৎসর পরে চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেক সংঘটিত হয়। হেমচন্দ্রের পরিশিষ্ট পর্বের অষ্টম সর্গের ৩৪১ সংখ্যক শ্লোকে চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেক-কালের উল্লেখ আছে। যথা :
“এবং চ শ্রীমহাবীরে মুক্তে বর্ষশতে গতে।
পঞ্চ-পঞ্চাশদধিকে চন্দ্রগুপ্তোহভব নৃপঃ।” সুতরাং, এই প্রমাণগুলি মিলাইয়া লইলে ভদ্রবাহুর নিবাণ কাল ২৯৭ খ্রীস্টপূর্বাব্দে পড়ে। কন্নড়-দেশের কিংবদন্তী অনুসারে ঐ ২৯৭ খ্রীস্টপূর্বাব্দই চন্দ্রগুপ্তের কন্নড়-রাজ্যে দেহত্যাগের কাল। সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, রাজশিষ্য চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যু দেখিয়া ভদ্রবাহু বেশিদিন জীবিত ছিলেন না। উভয়ের মৃত্যুকালের ব্যবধান ২১ মাস মাত্র হইতে পারে।
পূর্বে উক্ত হইয়াছে যে, উত্তর কালের কোনও জৈন জ্যোতির্বিৎ আত্মনাম গােপন করিয়া ভদ্রবাহুর নামে ‘ভদ্রবাহবী সংহিতা' প্রণয়ন করিয়াছিলেন; এবং আর-একজন জৈন আইনশাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ‘ভদ্রবাহু সংহিতা' নামে একখানি আইনের বই
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org