________________
কল্প-সূত্রকার
ভদ্রবাহু অভ্রভেদী বিন্ধ্যপর্বত অতিক্রম করিয়া অগস্ত্য ঋষি সদলবলে দাক্ষিণাত্যে উপনিবেশ স্থাপন-পূর্বক তামিল-ভাষী দ্রাবিড়গণের শিক্ষা-দীক্ষার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন,-এ-কথা এখন সর্বজনবিদিত ঐতিহাসিক সত্য। কিন্তু এই সত্য পূর্বকালে আর্যাবর্ত বাসী আর্যগণের জানা ছিল না। অগস্ত্য ঋষির বিষয়ে পুরাণকারেরা নানা-রূপ অলৌকিক ও অবিশ্বাস্য গল্পের সৃষ্টি করিয়াছিলেন। তাহার একমাত্র কারণ এই যে, আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্যের মাঝখানে দাড়াইয়া আকাশে মাথা তুলিয়া সুবিস্তৃত বিন্ধ্য পর্বতমালা ভারতবর্ষের এই দুই অংশের মধ্যে এমন একটা ব্যবধান সৃষ্টি করিয়া রাখিয়াছিল যে, এক অংশের লােকে অন্য অংশের লােকের কোনও খবর পাইত না। ফলে, কল্পনার আশ্রয়ে নানা-রূপ প্রবাদ ও গল্প-গুজবের উদ্ভব হইত। আধুনিক যুগে ভারতের সর্বত্র রেলপথের প্রতিষ্ঠা হওয়ায় উত্তর-ভারত ও দক্ষিণ-ভারতের ব্যবধান কাটিয়া গিয়াছে। এখন হিমালয় হইতে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যাতায়াত করিতে লােকের কোনও কষ্ট হয় না। তাছাড়া, দৈনিক সংবাদপত্রের অনুগ্রহে একপ্রান্তে সংঘটিত ঘটনা অন্যপ্রান্তে পৌছিতে বেশি বিলম্ব হয় না। কিন্তু তথাপি বিন্ধ্যাচলকৃত ব্যবধানের ফলে প্রাচীনকাল হইতে যে-সকল ঐতিহাসিক ঘটনা প্রচ্ছন্ন হইয়া রহিয়াছে, সে-বিষয়ে অনুসন্ধান ও গবেষণার ফলে আধুনিকযুগেও আশানুরূপ আলােকপাত হইতেছে না। তামিল সাহিত্যের আলােচনা হইতে আমরা যেমন অগস্ত্য ঋষির উপনিবেশের কথা ও তামিল-ভাষা-ভাষীদিগের শিক্ষা-দীক্ষা | ০. P. 93–13. •
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org