________________
1
৩৮/০
সদ্যোজাত পুত্রের ক্রন্দন শুনিতে পাইয়া বলিয়া উঠিলেন, “জীব, জীব,” । ফলে সত্যন্ধর-পুত্রের নাম হইল “জীবন্ধর”। বণিক্ গন্ধোৎকটকে চিনিতে পারিয়া শোকাকুলা রাণী তাঁহারই হস্তে জীবন্ধরকে সমর্পণ করিয়া নিশ্চিন্ত হইলেন এবং ছেলেটিকে যত্ন করিবার জন্য বারবার তাঁহাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করিলেন ৷ জীবন্ধরকে লইয়া গিয়া গন্ধোৎকট তাঁহার পুত্রশোকাতুরা পত্নী নন্দার কোলে দিলেন । চোখ মুছিয়া নন্দা জীবন্ধরকে আদর করিতে লাগিলেন ।
রাণী বিজয়া যক্ষীর সাহায্যে একটি জৈন মঠে নীত হইলেন ৷ সেখানে মঠ-নিবাসী সন্ন্যাসীদিগের নিকট নানা ধর্মকথা শুনিয়া তিনি কাল কাটাইতে লাগিলেন ।
রাজা সত্যন্ধরের আরও দুইটি রাণী দুইটি পুত্রসন্তান প্রসব করিলেন । রাজার বিশ্বাসী পাত্রদিগেরও চারিটি পুত্ৰ ভূমিষ্ঠ হইল ৷ গোপনে সকলকেই গন্ধোৎকটের গৃহে লইয়া যাওয়া হইল। নন্দারও একটি পুত্ৰ হইল, তাহার নাম হইল নন্দাঢ্য ৷ জীবন্ধরের সহিত তাহারা সকলে মানুষ হইতে লাগিল ৷
শৈশবেই জীবন্ধর অসাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে লাগিলেন ৷ একদিন গন্ধোৎকটের গৃহে একজন সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং জীবন্ধরের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার কথা শুনিয়া তাঁহার প্রশংসা করিতে লাগিলেন । কিছুক্ষণ পরে অত্যুষ্ণ খাদ্য মুখে পূরিয়া জীবন্ধর কাঁদিয়া উঠিলেন । ইহা দেখিয়া সন্ন্যাসী তাঁহাকে তিরস্কার করিয়া বলিলেন, “বুদ্ধিমান্ ছেলে কাঁদে না।” জীবন্ধর তৎক্ষণাৎ নিজের ক্রন্দন সমর্থন করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “কান্নাই তো এ অবস্থায় বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। কাঁদিলে চক্ষু পরিষ্কার হয়, লালারস ক্ষরণ হয়,
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org