________________
২/৩
রাক্ষসেরাও বিদ্যাধরের বংশ। কুম্ভকর্ণের নাম ‘ভানুকর্ণ, শূর্পণখার নাম ‘চন্দ্রমুখ। প্রথমে কৃতযুগে ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র তিন বর্ণ ছিল। বিদ্যাধরও ছিল; কিন্তু ব্রাহ্মণ ছিল না। সকলেই ছিল জৈন, সমস্ত জগৎটাই জৈন। ব্রাহ্মণেরা পরে উৎপন্ন হইয়াছে এবং তাহারাই যজ্ঞ ও জীবহিংসা প্রবর্তিত করিয়াছে। | রামায়ণ বিষয়ে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন গ্রন্থ বিমল সূরির ‘পউম চরিয়’ বীর নির্বাণের ৫৩০ বর্ষ পরে (খ্রষ্টীয় ৪ অব্দে) প্রাকৃত ভাষায় আর্যা ছন্দে লিখিত। যাকোবি সম্পাদিত সংস্করণ, ভাবনগর, ১৯১৪। মহাবীর স্বামীর অভিন্ন শিষ্য গৌতম ইন্দ্রভূতি এই কাহিনীর বক্তা (ইনি মহাবীর স্বামীর নিকট ইহা শুনিয়াছিলেন)। শ্রোতা মগধাধিপতি শ্রেণিক বিম্বিসার। সারাংশ নিম্নে সংগৃহীত হইল।
| মগধের রাজধানী রাজপুর নগরে মহারাজ শ্রেণিক যখন রাজা ছিলেন, সেই কালে কুণ্ডগ্রাম নগরে মহারাজ সিদ্ধার্থের ঔরসে রাজ্ঞী ত্রিশলার গর্ভে শ্ৰমণ ভগবান্ মহাবীরের জন্ম হয়। ৩০ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে তিনি সংসার ত্যাগ করিয়া কেবলী হন। একদিন বিপুল’ পাহাড়ে দেব, মনুষ্য ও সজীব সমক্ষে মহাবীরস্বামী ‘আত্মা, কর্ম’ ‘জন্মান্তর, কর্মমুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে বক্তৃতা, করিতেছিলেন। শ্রোতৃবর্গের মধ্যে মহারাজ শ্রেণিক ( বিম্বিসার) উপস্থিত ছিলেন।
বক্তৃতা শুনিয়া স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনের পরও মহারাজ শ্রেণিক মহাবীর স্বামীর বাণী ভুলিতে পারিলেন না। রাত্রিকালে চিন্তালস চিত্তে তিনি শয়ন করিলেন। নিদ্রিত অবস্থায় স্বপ্নযােগে তিনি ভাবিতে লাগিলেন পূর্বজন্মের কর্মফলে যদি
o. P. 93–6
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org