________________
Sto
মহাবীর স্বামীর উপদেশ চৌদ্দটি 'পুৰ্ব্ব' ( চতুর্দশ পূর্ব ) বা প্রাচীন শাস্ত্রে নিবদ্ধ ছিল। এই ‘পুব্ব’গুলি মহাবীর স্বামীর নিজের শিষ্য ও গণধরগণ জানিতেন ৷ এই চতুৰ্দশ পূর্ব যাঁহাদের কণ্ঠস্থ ছিল তাঁহারা ‘চতুর্দশ-পূর্বী' বলিয়া কথিত হন । এখন 'পূর্ব' গুলি বিলুপ্ত হইয়াছে। খ্রীস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে স্থূলভদ্র স্থবিরের অধিনায়কত্বে পাটলিপুত্র নগরে যে প্রথম জৈন মহাসংঘের অধিবেশন হয় তাহাতে চৌদ্দটি পূর্ব শাস্ত্রের সার লইয়া দ্বাদশখানি অঙ্গগ্রন্থ সংকলিত হয়। সেই বারোখানি অঙ্গগ্রন্থের সর্ব শেষ গ্রন্থ 'দৃষ্টিবাদ (দিঠিবায়)' আবার কালক্রমে লুপ্ত হইয়া যায়। ফলে দেবর্ধিগণী ক্ষমাশ্রমণের অধিনায়কত্বে বলভীনগরে খ্রীষ্টীয় পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতকে যে মহাসংঘ আহূত হয় তাহাতে ৪৫খানি 'আগম' পুনঃসংস্কৃত পুস্তকাকারে লিখিত হয় । দেবর্ষিগণীর পূর্বে ‘আগম’ সমূহ লিখিত বা গ্রন্থাকারে নিবদ্ধ হয় নাই ৷ ৩২ অক্ষরে এক একটি ‘গ্রন্থ’ ( বা শ্লোক ) ধরিয়া এই আগমগুলির অক্ষর-সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। লিখিত পুথিগুলিতে এবং অধুনা মুদ্রিত পুস্তকসমূহে এই ‘গ্রন্থ’সংখ্যা ( যেমন : 'গ্ৰ ১২০৩ ) দেওয়া থাকে ।
জৈন আগমগুলির এই ইতিহাস হইতে প্রতীয়মান হয় যে চৌদ্দটি পূর্বে মহাবীর স্বামীর মুখনিঃসৃত বাণী নিবন্ধ ছিল । মহাবীর স্বামীর শিষ্যগণ এই পূর্বগুলির ব্যাখ্যাবিশ্লেষণাদির দ্বারা ও তৎসহ আখ্যায়িকাদি জুড়িয়া ৪৫খানি আগম প্রণয়ন করিয়াছেন । কোনও কোনও আগমের রচয়িতার নাম জানা আছে : ৪র্থ উপাঙ্গ পন্নবণা শ্যামার্য— প্রণীত, ৩য় মূলসূত্র 'দসবেয়ালিয়’ ( দশবৈকালিক ) শয্যংভব
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org