________________
১০০ বলিয়া পুরােহিত তাহাকে প্রলুব্ধ করেন, সে স্বর্গ কি পুরােহিত নিজে দেখিয়াছেন ? দেবতা ও পুণ্যাত্মাদিগের বিলাসভূমি এই স্বৰ্গনামক দেশ কি তাঁহাদের স্ব-কপােল-কল্পিত আকাশ-কুসুম নয় ? তাহাদের এই সমস্ত কর্ম কেবল জীবিকা অর্জনের জন্য প্রবঞ্চনামূলক উপায় মাত্র নয় ? যে যজমান পুরােহিতকে যত বেশি দক্ষিণা দান করিতে পারে, তাহার তত বেশি প্রশংসা হয়।
ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যের এইসকল বিষয় সূক্ষ্মভাবে পর্যালােচনা করিলে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রাদুর্ভাবের পূর্বকালে মগধদেশের ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণের অন্যান্য জাতিসমূহের মধ্যে হিংসামূলক বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠান ও সমাজে ব্রাহ্মণ জাতির অযৌক্তিক প্রাধান্যের বিরুদ্ধে একটা প্রবল জনমত উৎপন্ন হইয়াছিল। সেই বেদবিরােধী জনগণের মুখপাত্ররূপে মহাবীর স্বামী [ ও পার্শ্বনাথ ] মণ্ডপতলে সমাগত সহস্র সহস্র শ্রবণণাৎসুক জনগণের মধ্যে ওজস্বিনী ভাষায় বক্তৃতা করিয়া যে ধর্মব্যাখ্যা করিয়াছিলেন তাহা তাঁহার স্বকপােল-কল্পিত আবিষ্কার নহে, তাহা ঐসকল জনগণের উর্বর মানস-ক্ষেত্রে বহু পূর্ব হইতেই বীজরূপে উপ্ত ও অঙ্কুরিত হইয়াছিল। মহাবীর স্বামীর মুখনিঃসৃত অমৃতবাণী সেচনে সেই-সকল অঙ্কুরিত বীজ বিকাশ লাভ করিয়াছিল। এবং কালক্রমে সেইসকল বীজ হইতে উদ্গত ধর্মবৃক্ষ বহু শাখাপ্রশাখায় বিস্তার লাভ করিয়া সমগ্র ভারতবর্ষে এবং ভারতের বাহিরে বহু দেশে পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল।
জৈন ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে ভারতীয় জনগণের মনােমধ্যে জৈনধর্মের যেসকল মৌলিক উপাদান নিহিত ছিল, সেগুলি সংক্ষেপে এই :
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org