________________
১/%
ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের মধ্যে এই বিরােধ কোথায় প্রথম উদ্ভূত হইয়াছিল তাহা আবিষ্কার করা অতি দুরূহ ব্যাপার সন্দেহ নাই। কিন্তু ইহার প্রভাব যে সমগ্র আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্যের কিয়দংশ পর্যন্ত দেশে অনুভূত হইয়াছিল তাহা সহজেই অনুমান করা যায়। আর্যাবর্তের পূর্বাঞ্চলে অর্থাৎ অঙ্গ-বঙ্গ - কলিঙ্গ-মগধে এই বিদ্বেষবহ্নি প্রবল আকার ধারণ করিয়াছিল। আর্যকৃষ্টির বহিভুক্ত এই সকল দেশের অধিবাসিগণ আর্যসভ্যতায় নবদীক্ষিত হইবার পরও বহুকাল মধ্যদেশবাসী আর্যগণ কর্তৃক অবজ্ঞাত হইয়াছে। আর্য ব্রাহ্মণদিগের শাস্ত্র অনুসারে এদেশে পদার্পণ করিলে নিষ্ঠাবান্ আর্যসন্তানকে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইত। শুধু তাহাই নহে, এদেশের ভাষাগুলিও আর্যদিগের নিকট বরাবর অবজ্ঞাত হইয়াছে। অতি প্রাচীনকালে একবার “হে অরয়ঃ” স্থানে “হে অলয়ঃ” এই প্রাচ্যদেশের উচ্চারণ আর্য ব্রাহ্মণগণের বেদমন্ত্র দূষিত করিয়াছিল বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে। পরবর্তী যুগের নাটকাদিতেও মাগধী ভাষা চোর, লম্পট, ধীবর, ভৃত্য প্রভৃতি হীন পাত্রের ভাষা বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। এক কথায় বলিতে গেলে প্রাচ্যদেশবাসী অনার্যগণ আর্য-কৃষ্টি-ভুক্ত হইয়াও বহুকাল আর্য সভ্যতার সর্ববিধ অধিকার হইতে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু তথাপি এই প্রাচ্যদেশবাসিগণ আর্য সভ্যতা ও আর্য সভ্যতার সহিত আগত সংস্কৃত ভাষাকে যথাযােগ্য সম্মান প্রদর্শন করিয়াছে। আর্য ভাষার আদর্শে প্রাচ্য ভাষারও সংস্কার হইয়াছে। অতি প্রাচীন কালে,-আরণ্যক ও উপনিষদের যুগে মিথিলার বদান্য নৃপতি রাজর্ষি জনকের আশ্রয়ে বৃহদারণ্যক উপনিষদ রচিত হইয়াছে। নানা দিগদেশ হইতে | p. P. 93–3।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org