________________
11:0
তবে কে জানে, কেমন করিয়া ও কোন্ বস্তু হইতে এই বিশ্বের সৃষ্টি হইয়াছে ? হয় তো তিনিই জানেন, যিনি এই বিশ্ব সৃষ্টি করিয়াছেন। কিন্তু তিনিই যে সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহারই বা প্রমাণ কি ? আর তিনিই যে জানেন তাহারই বা প্রমাণ কি ?'
“দেবতারা নিশ্চয় সৃষ্টির পরে আবির্ভূত হইয়াছেন, তাঁহারা এই বিশ্ব সৃষ্টি করেন নাই, তাঁহারা অনাদিও নহেন, অনন্তও নহেন”—এই সকল মতবাদ যে সমাজে প্রকাশ্যে ঘোষিত হয়, সে সমাজ যে দেবতার প্রতি আস্থা হারাইয়াছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই ৷ বহু পরবর্তী ( বৌদ্ধ ও ) জৈন সাহিত্যে দেবতার প্রতি এই অনাস্থার পূর্ণ পরিণতি দেখা
যায় ৷
ঋগবেদ সংহিতার এই যুগে, যখন আর্য ঋষিগণের মধ্যে ‘দেবতায় বিশ্বাস' টলটলায়মান, সেই যুগে, তাঁহাদের সভ্যতা, শিক্ষা, দীক্ষা ও সাহিত্য-দর্শনাদির বিষয়ে আরও অনেক পরিবর্তন সংঘটিত হইয়াছে ৷ সমাজের শিক্ষা- ও দীক্ষা-গুরু ব্রাহ্মণের মর্যাদা হ্রাসপ্রাপ্ত হইয়াছে ৷ এই সকল বিষয়ে ব্রাহ্মণের উপর স্থানে স্থানে ক্ষত্রিয়ের প্রাধান্য দেখা দিয়াছে। পরবর্তী ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদের যুগে ক্ষত্রিয়ের প্রাধান্য সুপরিলক্ষিত হয় ৷ কেবল যে বিশ্বামিত্র ঋষি স্বীয় তপস্যার বলে ব্রহ্মর্ষিত্ব লাভ করিয়াছেন এবং সারা জীবন বশিষ্ঠের সহিত কলহ করিয়া কাটাইয়াছেন, তাহা নহে । বহু স্থলেই ক্ষত্রিয়গণ তত্ত্বদর্শন-শিক্ষকের কার্য্য করিয়াছেন এবং অনেক ক্ষত্রিয় রাজার নিকট ব্রাহ্মণগণ তত্ত্ব-জিজ্ঞাস্থ হইয়াছেন । শতপথ ব্রাহ্মণে ( ১১ ) দেখা যায় যে রাজর্ষি জনক শ্বেতকেতু, সোমশুষ্ম ' ও যাজ্ঞবল্ক্য ঋষিকে ‘অগ্নিহোত্র' বিষয়ে উপদেশ
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org