________________
110
শক্তির প্রভাব যে সকল ক্ষেত্রে স্বীকৃত হইয়াছে, ভারতীয় সভ্যতার সেই সকল উপাদান প্রাগ্-ভারতীয় বা ইরাণীয় যুগের এবং যে সকল উপাদান আধ্যাত্মিক ভাবপ্রবণতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, তাহাই ভারতীয় বৈদিক ধর্মের বৈশিষ্ট্য। সুতরাং বৃষ্টি-নিয়ন্তা ইন্দ্র, জলরাশির পরিচালক বরুণ প্রভৃতি যে সকল দেবতার স্তোত্রে ‘অষ' শক্তি বা ঋত শক্তির মাহাত্ম্য ঘোষিত, সেই স্তোত্র ও তদ্দ্বারা উপাস্য দেবতাই প্রাভারতীয় বা ইরাণীয় যুগের । ঐহিক ‘অষ’ শক্তিতে শক্তিমান্ বরুণ দেবতাই ইরাণীয়দিগের শ্রেষ্ঠ দেবতা ‘অহুরো মজদা' রূপে পরিণত হইয়াছেন বলিয়া আবেস্তা সাহিত্যের পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ স্বীকার করিয়া থাকেন। ভারতীয় অগ্নি দেবতা ইরাণীয়গণেরও দেবতা। সুতরাং এই সকল দেবদেবীর কল্পনা বা তাঁহাদের স্তোত্র রচনায় কোনও ভারতীয় বৈদিক ঋষির নূতন প্রতিভা নিহিত আছে বলিয়া স্বীকার করা যায় না ৷ ভারতে প্রবেশের পূর্ব হইতেই ধর্মবিশ্বাসের এই সকল উপাদান বৈদিক সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং হয় তো বা ভারতে প্রবেশের পরেও কোনও কোনও বৈদিক ঋষি ঐ সকল প্রাচীন বিষয়ের পুনরাবৃত্তি দ্বারা কতিপয় বেদমন্ত্র রচনা করিয়া থাকিতে পারেন। কিন্তু তাহাতে ভারতীয় ঋষির অভিনব চিন্তাবৃত্তির কোনও বিশিষ্ট ছাপ নাই ৷ হিংসামূলক যজ্ঞাদির অনুষ্ঠান অতি প্রাচীন যুগ হইতেই চলিয়া আসিতেছে ; ইরাণীয় ‘যশ’ শব্দই তাহার প্রমাণ । কিন্তু ভারতে প্রবেশের পর বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও ব্যাখ্যা ভিন্নভাবে কল্পিত হইয়াছে ৷ ঐহিক ভোগপরায়ণতা বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলিয়া স্বীকৃত হয় নাই। পারত্রিক মঙ্গলসাধনই যজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলিয়া ব্যাখ্যাত হইয়াছে । হিংসামূলক পুরুষমেধ,
.
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org