________________
1/0
1
পশ্চিম মুখে ইরাণ বা পারস্য দেশে, আর অপর সম্প্রদায় আসিয়াছেন পূর্বমুখে ভারতবর্ষে। এই বিবাদের মূলকারণ ধর্ম বিশ্বাসে মতভেদ ভারতীয় আর্যগণ যে মত পোষণ করিয়াছিলেন তাহাতেই তাঁহাদের ভবিষ্যৎ বেদ, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ্ ও অন্যান্য দর্শনাদির বীজ নিহিত ছিল । এই ক্ষণকালের সম্পর্কে সম্পর্কিত দৃশ্যমান জগৎকে তাঁহারা আত্মীয় ভাবিতে পারেন নাই । সাংখ্য দার্শনিক প্রকৃতির আকর্ষণে নির্লিপ্ত পুরুষকে তাঁহারা বন্দী করিতে রাজি হন নাই । পরম পুরুষকে নির্লিপ্ত রাখিয়াই তাঁহাদের ধর্মবিশ্বাসের মূলসূত্র পরিকল্পিত। তাই তাঁহারা এই দৃশ্যমান জগৎকে অলীক মায়া৷ বলিয়া ঘোষণা, করিলেন । কিন্তু ইরাণীয় আর্যগণ একথা মানিলেন না । তাঁহাদের মতে এ জগৎ মানবের উপভোগের জন্য সৃষ্ট, সুতরাং অলীক নহে। এই যে ফুল ফুটিতেছে, নদী দুলিতেছে, বায়ু বহিতেছে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির নানাবিধ রূপপরিবর্তন ঘটিতেছে, ইহা কি উপভোগ্য নহে ? ভারতীয় ঋষি বলিলেন’–‘না, এই আধিভৌতিক জগতের পরে আর একটা আধ্যাত্মিক জগৎ আছে, সেই জগতের আনন্দই প্রকৃত আনন্দ, তাহাই উপভোগ্য, কারণ সে আনন্দ ক্ষণস্থায়ী নয়, সে আনন্দ সনাতন । এই মতভেদের ফলে দুই সম্প্রদায় পরস্পরের সম্পর্ক ত্যাগ করিলেন । প্রাচীন আর্যজাতির ‘দেব' ( দএব ) শব্দ ঐ ইরাণীয়গণের ভাষায় দেব-দ্বেষী দৈত্য শব্দের বাচক হইল। আমাদের ইন্দ্র তাঁহাদের ঐ ‘দএব’-গণের অন্তর্ভুক্ত হইলেন ৷ আমাদের ‘অসুর' শব্দের অর্থ ছিল ‘বলবান্, বীর্যবান্’ এই অর্থে এই শব্দ ঋগ্বেদে বরুণাদি দেবতার বিশেষণরূপে ব্যবহৃত আছে ৷ ‘অসু’ শব্দের ‘প্রাণ' অর্থ অতি প্রাচীন। অস্তিত্ববাচী
Jain Education International
T
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org