________________
ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্যে জৈনধর্মের মৌলিক উপাদান
বেদ আর্যগণের সর্বপ্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থ। কিন্তু বেদের মধ্যে আমরা কোনও যুগবিশেষের সভ্যতা দেখিতে পাই না । ব্যাসদেব যিনিই হউন না কেন, তিনি কেবল বেদমন্ত্রসমূহ একত্র সংগ্রহ করিয়াছিলেন । তাঁহার সংগ্রহই যে সমগ্র বেদ, তাহাও স্বীকার করা যায় না ; হয় তো বহু মন্ত্র ব্যাসদেবের অগোচরেই বিলুপ্ত হইয়াছে ৷ . ইহা একপ্রকার অবিসংবাদিত সত্য যে ব্যাসদেবের যুগেই বেদমন্ত্রসমূহ রচিত হয় নাই ৷ বেদ রচনা বা বৈদিক সভ্যতা প্রণয়নের দেশ-কাল-নির্ণয় এখন অসম্ভব। আমরা এইমাত্র জানি যে বেদ বিভিন্নদেশীয় ও বিভিন্নকালীয় ঋষি সম্প্রদায়ের নিকট সংরক্ষিত ছিল। কোনও বেদমন্ত্র উচ্চারণ করিতে হইলে সেই সকল বিভিন্নদেশীয় ও বিভিন্নকালীয় মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষির নাম উল্লেখ করিতে হয় । সুতরাং বেদমন্ত্র সমূহে যে সভ্যতার নিদর্শন সংরক্ষিত আছে তাহা এক যুগেরও নহে, এক দেশেরও নহে, এক সম্প্রদায়েরও নহে। এই এক বেদের মধ্যেই বহু যুগের, বহু স্থানের ও বহু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মত একত্র সংগৃহীত রহিয়াছে । বহু স্থলেই মতের বিভিন্নমুখিতা সুপ্রতীয়মান ৷ ফল কথা ভারতীয় সভ্যতা ও ধর্মবিশ্বাসের ইতিহাসে জটিলতা ও বিভিন্নমুখিতার অবধি নাই ৷ কিন্তু তথাপি অতি সূক্ষ্ম আলোচনার সাহায্যে এই সভ্যতার ক্রমবিকাশের ইতিহাসে আমরা কয়েকটি মৌলিক ও সাম্প্রদায়িক উপাদান লক্ষ্য করিতে পারি। সেই উপাদানগুলির কোনও কোনও অংশ
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org