Book Title: Tattvartha Sutram Author(s): Ishvarchandra Shastri Publisher: Ishvarchandra Shastri View full book textPage 9
________________ e | মধ্যে তাহাকে প্রভাচন্দ্রাচার্যের রচিত “বৃহৎ তত্ত্বাৰ্থসূত্র বলা হইয়া থাকে, এই প্রবাদ একেবারে ভিত্তিহীন নয়। কালবিলুপ্ত বহু গ্রন্থ পুন: কালান্তরে প্রকাশিত হইয়া থাকে। প্রভাচাচায়’ নামে সুগৃহীতনামা অনেক জৈন বিদ্বান ছিলেন। তাহাদের গ্রন্থাবলীও সম্প্রতি পাওয়া যাইতেছে । (ক) প্রচন্দ্রাচার্য দার্শনিক শ্রেষ্ঠ, ইহার বিরচিত বৃহদগ্রন্থ—প্রমেয়কমলমার্তণ্ড এবং ন্যায়কুমুদ চন্দ্র। সর্বদর্শন সংগ্রহে শ্ৰীযুৎ সায়ণমাধবাচার্য উপাধিবাদ খণ্ডন প্রসঙ্গে তঁাহার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করিয়াছেন। ইহার বিবরণ মাণিক চন্দ্র গ্রন্থমালায় প্রকাশিত ‘রত্ব কাণ্ড শ্রাবকাচারের ভূমিকার ৫৭৬৬ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে এবং প্রমেয়কমলমার্কণ্ডের (নির্ণয় সাগর প্রেসে মুদ্রিত। অবতরণিকায় রহিয়াছে। (খ) ইহার পূর্বেও অপর একজন প্রভাচাচার্য নামে প্রসিদ্ধ গ্রন্থকার ছিলেন, ইহাদের একজন দক্ষিণাপথে পরমুরুনিবাসী বিনয়নন্দী আচার্যের শিষ্য ছিলেন। চালুক্য ভূপতি কীর্তিবর্মার অগ্রহারে (ব্ৰহ্মত্র, জাইগি) তাহার সাধুতা এবং পাণ্ডিত্যের প্রসিদ্ধি ছিল। এই ইতিহাস সাউথ ইণ্ডিয়ান জৈনিজ পত্রের দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত আছে। এই প্রভাচন্দ্রাচার্যের অবস্থান কাল বিক্রমাদিত্য সম্বতের ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে, যেহেতু উল্লিখিত কীতিবার সময় বিক্রয় সম্বতের ৬২৪ বলিয়া ইতিহাস-নিপুণ পণ্ডিতগণ অবধারিত করিয়াছেন, (গ) অন্য এক প্র চন্দ্রাচার্যের নাম দৃষ্ট গোচর হয়। তাহার উল্লেখ জৈনে ব্যাকরণে “রাত্রে কৃতিঃ প্রভাচ” এই সূত্রে আছে, অতএব জৈন পূজ্যপাদাচার্যের সময় বিক্রম যম্বতের ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথম ভাগে অবধারিত হইয়াছে। তৃতীয় প্রভাচন্দ্রাচার্যের পরিচয় শ্রবণ ( শমণ) বেলগোলায় যে প্রথম শিলালিপিতে উৎকীর্ণ হইয়াছে, ইহার বিষয়ে এই রূপ প্রসিদ্ধি আছে য়ে মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত এক সময়ে কেবলী (জৈন সাধু) ভদ্রবাহু অ চার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহার সময় বিক্রম সম্বতের অনেক পুর্বকালে। ভদ্রবাহু কেবলীর শিষ্য প্রভাচ দ্রাচার্যের, সে এই প্রাচীন তত্ত্বা সূত্র তাহ। নিঃসনেহরূপে বলা যাইতে পারে ন', কারণ তিনজন প্রভাচন্দ্রাচার্যের মধ্যে এই সূত্র নিচয় কাহার প্রণীত সে বিষয়ে সংশয় থাকিয়া গেল। ইহার পর সুধী সমাজের অনুশীলনে প্রকাশিত হইয়া পড়িবে। এই পর্যন্ত কেবলী-শিষ্য প্রভাচন্দ্রাচার্য দ্বারা বিরচিত কোন গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায় নাই। | যাহা হউক উক্ত সূত্র ও ভাষ্যকার দিগম্বর সমাজে উমাস্বামী এবং শ্বেতাম্বর সমাজে উমাস্বাতি এই নামে প্রসিদ্ধ দেখিতে পাওয়া যায়। জৈন বহুগ্রন্থে উমাম্বাতি নামই স্পষ্ট অঙ্কিত অাছে। এই দর্শনগ্রন্থে আচার্য শ্রুতসাগর বিরচিত “শ্রুতসাগরী” টাকায় (+) “উমাস্বামী এইরূপ নাম একাধিক স্থানে উল্লিখিত আছে। কিন্তু নামাংশে কিছু প্রভেদ থাকিলেও উক্ত উভয় সম্প্রদায়ে সূত্রকার উমাস্বামী দেব সম্মানাহ। তদীয় বিরচিত সূত্রাবলী * সাউথ, ইণ্ডিয়ান্ জৈনিজম পত্র দ্বিতীয় ভাগ ৮৮ পৃষ্ঠায় উল্লিখিত। । তাহার, রচিত “যুণলিক মহাকাব্যের টীকা অতি প্রশস্ত। তদীয় বিবরণ বম্বে মুদ্রিত উক্ত মহাকাব্যেন্ত ভূমিকায় আছে। Jain Education International For Personal & Private Use Only www.jainelibrary.orgPage Navigation
1 ... 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66 67 68 69 70 71 72 73 74 75 76 77 78 79 80 81 82 83 84 85 86 87 88 89 90 91 92 ... 94