________________
অনুবাদকের নিবেদন | পরলােকগত হেমান্ য়াকোবি জৈনসাহিত্যচর্চার স্বনামধন্য পথিকৃৎ। ১৩ খানি পুথির পাণ্ডুলিপি দেখিয়া ও তন্মধ্যে ৭ খানির পাঠ মিলাইয়া পাদটীকায় বহু পাঠান্তরের ইঙ্গিত সহ ভদ্রবাহুর কল্পসূত্র গ্রন্থখানি সম্পাদন করিয়া তিনি ১৮৭৮, খ্রষ্টাব্দে প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন। অনুবাদের জন্য আমি তাঁহারই ধৃত পাঠ যথাসম্ভব পাঠান্তর বর্জন করিয়া গ্রহণ করিয়াছি। বাঙ্গালা-ভাষী সাধারণ পাঠকের জন্য উদ্দিষ্ট আমার এই অনুবাদ গ্রন্থখানিকে পাঠান্তর-ভারে ভারাক্রান্ত করি নাই। সাধারণ পাঠকের সুবিধার জন্য বামদিকের পৃষ্ঠায় মূল পাঠ ও দক্ষিণ দিকের পৃষ্ঠায় অনুবাদ সামনা-সামনি মুদ্রিত হইয়াছে। বঙ্গানুবাদের মধ্যে প্রযুক্ত সংস্কৃত শব্দের সাহায্যে ( যথাসম্ভব মূল প্রাকৃতের সংস্কৃত প্রতিরূপই বঙ্গানুবাদে ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া) বঙ্গানুবাদটি অনেক স্থলে সংস্কৃত ‘ছায়া’-র কাৰ্য্য করিবে। মূল পাঠ বঙ্গাক্ষরেই মুদ্রিত হইয়াছে। বর্গীয় ব’-কারের স্থানে পেট-কাটা ‘ৰ’ ( অসমীয়া ভাষার ‘ৰ) অক্ষরের ব্যবহার করিয়াছি।
লেখকের পরিশ্রম-লাঘবের উদ্দেশ্যে জৈন সাহিত্যের লিপিকরগণ পূর্বানুবৃত্ত বাক্য বা বাক্যসমূহের বর্জন করিয়া থাকেন। এরূপ স্থলে বাক্যের প্রথম পদটি বা প্রথম দুইতিনটি পদ লিখিয়া তাহার পরে একটি জাব’ ( = যাবৎ ) লিখিয়া তাহার পরে সর্বশেষ পদটি লিখিয়া থাকেন।
* এ বিষয়ে উৎসুক পাঠক ‘বও (বর্ণক) শব্দের টীকা দেখিবেন।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org