________________
চাতুরঙ্গীয় কর্মরূপ মল) নিদ্ধ,ণে (নিধু নােতি=নিশ্চয় রূপে অপনয়ন করে, দূর করে) ১১||
যে ব্যক্তি মনুষজন্ম প্রাপ্ত হইয়া, ধর্মবণ পূর্বক তাহাতে শ্রদ্ধান্বিত হয়, সেই তপস্বী সংযমে উদ্যমপ্রাপ্ত হইয়া সমস্ত আশ্রব নিরােধ করতঃ কর্মরূপ মলকে সম্পূর্ণরূপে অপনয়ন করিয়া মুক্তি প্রাপ্ত হয় ॥১১||
সােহী উজুয়ভূয়স, ধম্মে সুদ্ধ চিঠঈ। নিব্বাণং পরমং জাই, ঘয়সিত্তি ব্ব ৪ পাবএ॥১২।
উজুয়ভূয়স (ঋজুতাপ্রাপ্ত = মনুষ্যজন্ম, ধর্মশ্রবণ শ্রদ্ধা ও সংযমে বীর্যরূপ চতুরঙ্গ প্রাপ্ত হইয়া মুক্তি গমনের জন্য সরলীভূত অর্থাৎ উদ্যমবান ব্যক্তির ) সােহী (শুদ্ধি = কযায়কালিমাহিত্য) (হয়) সুদ্ধ ( এরূপ শুদ্ধ অর্থাৎ কষায় কালুষ্য রহিত ব্যক্তির ) ধম্মে (ধর্ম = ক্ষান্ত্যাদি দশবিধ ধর্ম ) চিঠঈ ( থাকে = নিশ্চল হইয়া থাকে, স্থির হয়) (এবং) ঘয়সি (ঘৃতসিক্ত ) পাবএ ইব (পাবকের ন্যায়) পরমং (পরম = শ্রেষ্ঠ) নিব্বাণং (নিৰ্ব্বাণ = মুক্তি) জাই। ( প্রাপ্ত হয় ) ॥ ১২
চতুরঙ্গ প্রাপ্ত হইয়া মুক্তির জন্য উদ্যত পুরুষের কষায়াদি দূরীভূত হইয়া শুদ্ধি সম্পাদিত হয় এবং এরূপ শুদ্ধ ব্যক্তি ধর্মে স্থির হইয়া থাকে কখনও বিচলিত হয় না ও ঘৃতসিক্ত পাবকের ন্যায় পরম নির্বাণ অর্থাৎ জীবন্মুক্তি প্রাপ্ত হয় ১২
মিথ্যাত্ব ( অবিদ্যা ), অবিরতি ( অসংযম ), কষায় (ক্রোধ, মান, মায়াও লোভ ), প্রমাদ ( অনবধানতা) ও যােগ (মন, বচন ও কায়ের ব্যাপার ) এই পাঁচটি প্রধান কারণের দ্বারা শুভাশুভ কর্মের আগমন হয় বলিয়া ইহাদিগকে আশ্রব বা পঞ্চাশ্রব কহে। হিংসা, অসত্য, চৌর্য, মৈথুন, বিষয়ের প্রতি মূছ। বা পরিগ্রহ প্রভৃতিও কর্মবন্ধনের হেতু বলিয়া আশ্ৰব। এই শব্দটী আশ্রব ও আস্রব এই উভয় প্রকারেই লিখিত হয়।
১। উজ্জভূয়সস’ টীকা ৩। “চতুরঙ্গপ্রাপ্ত্যা মুক্তিং প্রতি প্রগুণীভূত” টীকা ৩। ২। “নির্বাণং পরমং প্রকৃষ্টং যাতি জীবন্মুক্তিং প্রাপ্নোতীত্যর্থঃ” টীকা ২। ৩। জায়ই’ টীকা ১। ৪। “ঘয়সিত্ত’ টীকা ২। “ঘয়সিত্তেব’ টীকা ৩।