________________
কেশীগৌতমীয়
এয়ােবিংশ অধ্যয়ন
জিণে পাসেত্তি নামেণং, অহা লােগপূইএ।
সংবুদ্ধপ্পা য় সব্বঃ, ধম্মতিথয়রে জিণে ॥১॥ জিণে ( জিন =রাগদ্বেষকে যিনি জয় করিয়াছেন, রাগ দ্বেষ জেতা) লােগপূইএ (লােকপূজিত= জগজন পূজিত) সংবুদ্ধপ্পা (সমুদ্ধাত্মা =তত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন ) সব্ব, (সর্বজ্ঞ ) ধম্মতিথয়রে (ধর্মতীর্থকর= ধর্মরূপ তীর্থ প্রবর্তনকারী ) জিণে (জিন=সমস্ত কর্মকে যিনি জয় করিয়াছেন, সকলকর্মজিৎ ) পাসেত্তি (পার্শ্ব এই ) ণামেণং ( নামে) অহা (অহন্ তীর্থঙ্কর) (হইয়াছিলেন ) ॥১॥
রাগদ্বেষজয়ী, জগজনপূজিত, তত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন, সর্বজ্ঞ, ধর্মতীর্থ প্রবর্তক ও সকল কর্মজেতা পার্শ্ব এই নামে তীর্থঙ্কর হইয়াছিলেন ॥১॥
তসস লােগপঙ্গবস, আসি সীসে মহাজসে।
কেসীকুমারসমণে, বিজ্জাচরণপারগে ॥২॥ ১। “পাসিত্তি’ টীকা ১ ও ৩। পার্শ্বনাথ এয়ােবিংশতিতম তীর্থঙ্কর। বারাণসী নগরীতে অশ্বসেন রাজার ঔরসে বামাদেবীর গর্ভে ইহার জন্ম হয়। কুশস্থলের রাজা প্রসেনজিতের প্রভাবতী নাম্নী কন্যার সহিত তাহার বিবাহ হয়। একদা পঞ্চাগ্নি তপস্যায় রত কমঠ নামক
সন্ন্যাসী বারাণসীতে আসিয়া তপস্যা করিতে থাকে। বহু লােক সেই সন্ন্যাসীর নিকট যাইতেছে দেখিয়া কুমার পার্শ্বনাথও তথায় গমন করেন এবং সন্ন্যাসীর চতুষ্পশ্বস্থ অগ্নিতে জীবহিংসা হইতেছে বলিয়া দোষারােপ করেন। সন্ন্যাসী ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া উঠে। তখন পার্শ্বকুমার অগ্নিকুণ্ড হইতে একটি কাষ্ঠখণ্ড বাহির করাইয়া তন্মধ্য হইতে এক অর্ধদগ্ধ সৰ্পকে নিষ্কাশিত করেন। সন্ন্যাসী অপ্রতিভ হইয়া আরও কুপিত হয়। কিছুকাল পরে মৃত্যুর পর সেই কমঠ সন্ন্যাসী ভবনপতি দেবতারূপে উৎপন্ন হয়। সেই অর্ধদগ্ধ সৰ্পও ভবনপতি দেবের নাগকুমার বিভাগের দক্ষিণভাগের ইন্দ্ররূপে উৎপন্ন হয়। ইহার নাম ধরণেন্দ্র। এদিকে পার্শ্বকুমারও গৃহত্যাগ করিয়া প্রব্রজ্যা অবলম্বন করেন ও কঠোর তপস্যা করিতে থাকেন। একদা দেবরূপে উৎপন্ন কমঠ পার্শ্বনাথকে ধ্যানমগ্ন দেখিয়া পূর্ব জন্মের বৈরভাব স্মরণ পূর্বক অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হয় এবং ভীষণ জলবর্ষণ করিয়া পার্শ্বনাথকে ডুবাইয়া বিনাশ করিতে চেষ্টা করে। ইতিমধ্যে ধরণেন্দ্র পানাথের বিপদের কথা জ্ঞানবলে অবগত হইয়া তথায় আগমন করে ও কমঠকে নিবৃত্ত করে। এই ঘটনার স্মৃতিস্বরূপ পার্শ্বনাথের প্রতিমার মস্তকের উপরে বিস্তৃত সর্পণা সংলগ্ন করা হয়। পার্শ্বনাথের প্রতিমার অধােভাগেও সর্প উৎকীর্ণ থাকে ইহাকে লাঞ্ছন বলে। বলা বাহুল্য যে