Book Title: Uttaradhyayan Sutra Part 01 Bengali
Author(s): Calcutta Vishvavidyalay
Publisher: Calcutta Vishvavidyalay

View full book text
Previous | Next

Page 420
________________ ৪ ০৩ কেশীগৌতমীয় জ্ঞানচারিত্রসম্পন্ন) মহাজসে (মহাযশস্বী ) সীসে (শিষ্য =পরস্পরাগত শিষ্য ) আসি ( ছিলেন) ২ জগদুজ্জ্বলকারী পার্শ্বনাথের কেশীকুমারশ্রমণ নামক জ্ঞান ও চারিত্র সম্পন্ন। পরম্পরাগত শিষ্য ছিলেন ॥২|| ওহিণণসুএ বুদ্ধে, সীসসংঘসমাউলে। গামাণুগামং রীয়তে সাবখিং ২ নগরিমাগএ ॥৩॥ (কেশীকুমার শ্রমণ) ওহিণাণসুএ বুদ্ধে ( অবধিজ্ঞান ও জ্ঞানের দ্বারা বুদ্ধ= মতি, শ্রুত ও অবধি জ্ঞান সমন্বিত) সীসসংঘসমাউলে ( শিষ্যসঘসমাকুল = শিষ্যগণ পরিবৃত ) ( হইয়া) গামাণুগামং (গ্রামাগ্রাম= গ্রাম হইতে গ্রামে) রীয়তে ( বিচরণ করিতে করিতে) সাবথিং (শ্রাবস্তী) ণগরিং (নগরে ) আগএ ( আগত হইলেন) |||| মতি, শ্রুত ও অবধিজ্ঞানসম্পন্ন কেশীকুমার শ্রমণ শিষ্যবর্গ পরিবৃত হইয়া গ্রামাগ্রামে বিচরণ করিতে করিতে শ্রাবস্তী নগরীতে সমাগত হইলেন ৷৩৷ ১। জ্ঞান পাঁচ প্রকার যথা—মতিজ্ঞান, জ্ঞান, অবধিজ্ঞান, মনঃপর্ষায়জ্ঞান ও কেবলজ্ঞান। যে জ্ঞান ইন্দ্রিয় ও মনের সহযােগে উদ্ভূত হয় কিন্তু তাহাতে শব্দ বা ভাষার অপেক্ষা থাকে না তাহাকে মতিজ্ঞান বলে। যে জ্ঞান শব্দ ও ভাষার অপেক্ষার সহিত উৎপন্ন হয় বা অন্য ব্যক্তির উপদেশ ও পুস্তকাদি পঠনের দ্বারা যে জ্ঞান হয় তাহাকে জ্ঞান বলে। যে জ্ঞানের দ্বারা ইন্দ্রিয় ও মনের সাহায্য ব্যতিরেকে এক নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সমস্ত রূপী পদার্থকে জানা যায় তাহা অবধিজ্ঞান বলে। ইহা আত্মিক জ্ঞান। যে জ্ঞানের দ্বারা ইন্দ্রিয় ও মনের সহায়তা ব্যতীত বিশিষ্ট ও নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে প্রাণিগণের মনােভাবকে অবগত হওয়া যায় তাহা মনঃপর্যায়জ্ঞান বলে। ইহাও আত্মিক জ্ঞান। যে জ্ঞানের দ্বারা মন ও ইন্দ্রিয়ের কোন প্রকার অবলম্বন ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ লােক ও অলােকের, ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানকালের, সমস্ত রূপী ও অরূপী পদার্থের সম্পূর্ণ গুণ ও পর্যায়কে জানা যায় তাহাকে কেবলজ্ঞান কহে। ইহা আত্মার স্বাভাবিক জ্ঞান, ইহা উৎপন্ন হইলে বিশ্বসংসারের সমস্ত পদার্থকে সম্পূর্ণভাবে জানিতে পারা যায় এবং যিনি এই জ্ঞান প্রাপ্ত হন তিনি আয়ুক্ষয়ান্তে নিশ্চয়ই শুদ্ধ, বুদ্ধ, মুক্ত ও অব্যাবধ অবস্থা অর্থাৎ সিদ্ধাবস্থা প্রাপ্ত হন। | ২। শ্রাবস্তী—ইহা উত্তর কোশলদেশের রাজধানী ছিল। বর্তমান গােণ্ড জিলায়। অবস্থিত ‘অকোন গ্রামের পূর্বে পাঁচ মাইল দূরে ও বলরামপুরের পশ্চিমে ১২ মাইল দূরে রাপ্তি নদীর দক্ষিণতটে অবস্থিত ‘সহেঠমহেঠ’ নামক স্থানকে শ্রাবস্তী বলিয়া নির্ধারণ করা হয়। শ্ৰমণ ভগবান্ মহাবীর, পৃঃ ৩৯১ ৩। “সেবি সাবখিমাগ’ টীকা ৩। সাবথিং পুরমাগ’ টীকা ৪।

Loading...

Page Navigation
1 ... 418 419 420 421 422 423 424 425 426 427 428 429 430 431 432 433 434 435 436 437 438 439 440 441 442 443 444 445 446 447 448 449 450 451 452 453 454 455 456 457 458 459 460 461 462 463 464 465 466 467 468 469 470 471 472 473 474 475 476 477 478 479 480 481 482