________________
৪১৬
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র কেসিং এবং বুবাণং (কেশীকুমারকে এইরূপ বলিতে দেখিয়া ) গােয়মে ইণমব্ববী (গৌতম এইরূপ উত্তর করিলেন) (তীর্থঙ্করগণ) বিন্নাণেণ (বিজ্ঞানের দ্বারা = বিশিষ্ট প্রকার জ্ঞানের দ্বারা, কেবল জ্ঞানের দ্বারা) সমাগম্য (সম্যকরূপে অবগত হইয়া = যাহার পক্ষে যাহা উচিত তাহা জ্ঞাত হইয়া) ধম্মাহণ (ধর্মসাধন=ধর্মোপকরণ, সাধুগণের ধর্মসাধনের জন্য যেরূপ বেশাদি উপকরণের প্রয়ােজন তাহা) ইচ্ছিয়ং ( ইচ্ছা করিয়াছেন= নির্দেশ দিয়াছেন ) ৩১
| কেশীকুমার এইরূপ বলিলে গৌতম উত্তর দিলেন ‘তীর্থঙ্করগণ কেবল জ্ঞানের দ্বারা ধর্মসাধনের জন্য যাহার যেরূপ বেশাদি উপকরণের প্রয়ােজন তাহা সম্যক্ প্রকারে জ্ঞাত হইয়া তদ্রপ নির্দেশ দিয়াছেন’ ॥৩১।
পশ্চয়খং চ লােগসস, ণণাবিহবিগপ্পণ।
জখং ২ গহণখং চ, লােগে লিংগপওয়ণং ৩২। লােগে (লােকে =সংসারে ) শাণাবিহবিগপ্পণং (নানাবিধ বিকল্পন=নানাবিধ বেশাদির কল্পনা) (ও) লিংগপওয়ণং (লিঙ্গ প্রয়ােজন=বেশধারণের প্রয়ােজন) লােগসস (লােকের = মনুষ্যগণের) পচ্চয়খং ( প্রত্যয়ার্থ= প্রত্যয়ের জন্য ) জখং ( যাত্ৰাৰ্থ =সংযম পালনের জন্য ) চ (ও) গহণখ (গ্ৰহণার্থ= জ্ঞানের জন্য, আমি সাধু এই জ্ঞান উৎপন্ন হইবার জন্য ) (হয় ) ॥৩২|| | হে কেশীকুমার মুনি, মনুষগণের প্রত্যয়ের জন্য, সংযম পালনের জন্য ও আমি সাধু এই জ্ঞান উৎপন্ন হইবার জন্য সংসারে নানাবিধ বেশাদির কল্পনা ও বেশধারণের প্রয়ােজন হইয়া থাকে ॥৩২।
অহ ভবে পইন্না উ, মুখসয়সাহণা। হাণং চ দংসণং চেব, চরিত্তং চেব ণিচ্ছ ॥৩৩||
১। লােস্স’ টীকা ২। ২। “যাত্রা সংযমনির্বাহন্তদর্থম” টীকা ২।
৩। “গ্রহণং জ্ঞাণং তদর্থং চ কথঞ্চিচ্চিত্তবিপ্লবােৎপত্তাবপি যথাহহং ব্ৰতীত্যেতদর্থ” টীকা ২।
৪। জৈনদর্শনে বস্তুর স্বরূপ প্রধানতঃ দুই প্রকার দৃষ্টির দ্বারা নিরূপিত করা হয়। একটীকে নিশ্চয়ই দৃষ্টি বা নিশ্চয়নয় ও অপরটীকে ব্যবহার দৃষ্টি বা ব্যবহার নয় বলা হয়। যে দৃষ্টির দ্বারা পরবস্তুর অপেক্ষা না রাখিয়া কোন এক বস্তুর তাত্ত্বিক স্বরূপের নিরূপণ করা হয় তাহাকে নিশ্চয় নয় ও যে দৃষ্টির দ্বারা পরবস্তুর অপেক্ষার সহিত কোন এক বস্তুর বিচার করা হয় তাহাকে ব্যবহার নয় বলা হয়।