________________
নমিপ্রব্রজ্যা
১২१
সম্পন্ন ) অণুগারস ( অনগার = গৃহশূন্য) ভিক্খণো ( ভিক্ষোপজীবী ) মুণিণো খু ( নিশ্চয়ই= প্রচুর ) ভদ্দ ( ভদ্র=সুখ, কল্যাণ )
( মুনির ) বহু
( থাকে ) ৷৷১৬৷৷
সমস্ত পরিগ্রহ হইতে বিমুক্ত, একত্ব বিচার সম্পন্ন, গৃহশূন্য, ভিক্ষোপজীবী মুনির নিশ্চয়ই প্রচুর সুখ থাকে অর্থাৎ তিনি সব সময়েই সুখে নিমগ্ন থাকেন ॥১৬৷
৫ম অন্যত্বভাবনা—আমার শরীর ও আত্মা পৃথক্ । শরীর জড় কিন্তু আত্মা চেতন । শরীর স্কুল কিন্তু আমি সূক্ষ্ম । এইরূপে শরীরের প্রতি আত্মার মিথ্যা আরোপ দূর করিবার জন্য শরীর ও আত্মাকে ভিন্ন বলিয়া চিন্তন করাকে অন্যত্বভাবনা বলে ।
৬ষ্ঠ অশুচিভাবনা—এই শরীর অশুচি পদার্থের দ্বারা নির্মিত। ইহাকে স্নানাদির দ্বারা যতই বাহ্যিকভাবে পরিষ্কার করা যায় না কেন অভ্যন্তরে ইহা মলমুত্রাদি অশুচি পদার্থেই পরিপূর্ণ। এইভাবে শরীরের প্রতি আসক্তি দূর করিবার জন্য শরীরকে অশুচিরূপে চিন্তন করাকে অশুচি ভাবনা বলে ।
আস্রবভাবনা—যে কারণসমূহের দ্বার। আত্মার সহিত মিলিত হইবার জন্য কর্মপুদ্গালের আগমন হয় সেই কারণগুলি হইতে নিবৃত্ত না হইয়া ইন্দ্ৰিয়াদি বিষয়ে আসক্ত হইলে যে অনিষ্ট পরিণাম হয় তাহা চিন্তন করাকে আস্রব ভাবনা বলে ।
৮ম সংবরভাবনা—দুপ্রবৃত্তি বা আস্রবকে নিরোধ করিবার জন্য মন, বচন ও কায়কে একাগ্র করিয়া সচ্চিন্তা করাকে সংবর ভাবনা কহে ।
৯ম নির্জরা ভাবনা— আত্মার সহিত বদ্ধ কর্মকে নির্জরা অর্থাৎ আত্মা হইতে বিচ্যুত করিবার অভিপ্রায়ে কর্মের নানা প্রকার বিপাকের বিষয় চিন্তা করিয়া তপস্যা ও ধ্যানাদির দ্বারা কর্মক্ষয় করিবার জন্য যে সদ্ভাবনা করা হয় তাহাকে নির্জরা ভাবনা বলে।
এম
১•ম লোকভাবনা—অধঃ, মধ্য ও উদ্ধ ́ এই ত্ৰিভাগ সমন্বিত সম্পূর্ণ লোক অর্থাৎ বিশ্বের স্বরূপের চিন্তন করা ও বিশ্ব অনাদি এবং অনন্ত, সমস্ত জীব ও জড়পদার্থ ইহার মধ্যে অবস্থিত ইত্যাদি লোকস্বভাবের চিন্তন করাকে লোক ভাবনা কহে ।
১১শ বোধিদুর্লভ ভাবনা—অনন্ত প্রপঞ্চময় সংসারে তীব্র মোহের দ্বারা আচ্ছন্ন জীবের
সম্যক্ দর্শন ও সম্যক্ চারিত্র প্রাপ্ত হওয়া অত্যন্ত দুর্লভ এবং সম্যক্ দর্শন ও চারিত্র না হইলে মুক্তি প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব নহে ইত্যাদি সম্যক্ দর্শন ও সম্যক্ চারিত্র প্রাপ্তির জন্য যে চিন্তন তাহাকে বোধিদুর্লভ ভাবনা কহে ৷
১২শ ধর্ম ভাবনা—জন্ম জরা ও মরণরূপ দুঃখময় অনন্ত সংসারে ধর্মই একমাত্র অবলম্বন । ধর্মানুষ্ঠানই প্রাণিগণের একমাত্র কল্যাণের স্থান। এইরূপে ধর্মের প্রতি মন স্থির করিবার জন্য ধর্মের উৎকর্ষতার যে চিন্তন তাহাকে ধর্মভাবনা কহে।—তত্ত্বার্থ
সূত্র ৯৭ ।