________________
হরিকেশীয়
দ্বাদশ অধ্যয়ন
সোবাগকুলসংভূও, গুণুত্তরধরো' মুণী। হরিএসবলো* ণাম, আসি ভিক্ জিইংদিয়ো ॥১॥
সোবাগকুলসংভূও ( শ্বপাক কুল সম্ভূত=চণ্ডাল কুলোপন্ন ) গুণুত্তরধরো ( গুণোত্তরধর=শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন, জ্ঞানদর্শন চারিত্র সম্পন্ন ) মুণী ( মুনি =সংসার হইতে বিরত ) জিইংদিয়ো ( জিতেন্দ্রিয়) হরিএসবলো ণাম (হরিকেশবল নামক ) ভিক্ ( ভিক্ষু ) আসি ( ছিলেন ) ॥১॥
চণ্ডাল কুলোপন্ন, জ্ঞানদর্শনাদি শ্রেষ্ঠ গুণ সম্পন্ন, সংসারত্যাগী, জিতেন্দ্ৰিয় হরিকেশবল নামক ভিক্ষু ছিলেন ॥১॥
১।
“গুণত্রয়ধরঃ জ্ঞানদর্শনচারিত্রাখ্যং ধরতীতি গুণত্রয়ধরঃ” টীকা ১।
* গঙ্গাতটে হরিকেশ নামক জনপদের অধিপতি বলকোষ্ট নামক চণ্ডালের পুত্ররূপে হরিকেশবল জন্মগ্রহণ করেন, ইঁহার নাম বল এবং হরিকেশ দেশে জন্ম বলিয়া হরিকেশবল আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। বাল্যকালে ইনি অত্যন্ত দুর্দান্ত ছিলেন। বয়োবৃদ্ধির সহিত পূর্বজন্মের সুকৃত বশে ইঁহার জাতিস্মরণ জ্ঞান উৎপন্ন হয়, এবং সংসার ত্যাগ করিয়া শ্রমণদীক্ষা গ্রহণ করেন। হরিকেশবল ঘোর তপস্যা আচরণ করিয়া বিচরণ করিতে করিতে একদা বারাণসী নগরীতে উপস্থিত হইলেন, এবং সেই নগরীর উপকণ্ঠে তিন্দুকবনের মধ্যস্থিত মণ্ডিক নামক যক্ষের মন্দিরে থাকিয়া তপস্যা ও ধ্যান করিতে লাগিলেন । সেই মুনির তপস্যার প্রভাবে যক্ষ তাঁহার প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও সহানুভূতিসম্পন্ন হইলেন। একদা কোশলদেশের রাজার ভদ্রা নামক পুত্রী সখীগণসহ যক্ষকে পূজা করিবার জন্য সমাগত হইল ও সেই হলে তপস্যার দ্বারা কৃশ শরীর ও মলিন বস্ত্রধারী কুরূপ মুনিকে দেখিয়া তাঁহাকে তিরস্কার ও অপমান করিল । ভদ্রার এইরূপ কুৎসিত ব্যবহারে যক্ষ কুপিত হইয়া ভদ্রার শরীরে প্রবিষ্ট হইলেন এবং তজ্জন্য ভদ্রা মূর্ছা প্রাপ্ত হইল । রাজা নানাপ্রকার চিকিৎসা ও মন্ত্রাদির উপচার করিয়াও তাহাকে সুস্থ করিতে সমর্থ হইলেন না। তখন সেই যক্ষ ভদ্রার মুখ দিয়া প্রকাশ করিলেন যে এই কন্যা মহামুনিকে অপমান করিয়াছে অতএব যদি ইহাকে সেই মুনির সহিত বিবাহ দেন তবেই এই কন্যা সুস্থ হইবে। রাজা বাধ্য হইয়া সম্মত হইলেন ও কন্যা তৎক্ষণাৎ সুস্থ হইয়া উঠিল । রাজ। তৎপরে ভদ্রাকে বস্ত্রালঙ্কার দ্বারা বিভূষিত করিয়া যক্ষের মন্দিরে সেই সাধুর সহিত পরিণীত হইতে প্রেরণ করিলেন কিন্তু হরিকেশবল সংসার ত্যাগ করিয়া ব্রহ্মচর্য ধারণ করিয়াছেন বলিয়া সেই কন্যাকে প্রত্যাখ্যান করিলেন। সাধু কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হইলে সাধুর সহিত