________________
সঞ্জয়ীয় উদায়ণণা ( উদায়ন) রজ্জং (রাজ্য) চিচ্চা (ত্যাগ করিয়া) পব্বইও (প্রব্রজিত হইলেন) (ও) মুণী চরে (মুনিধৰ্ম আচরণ করিলেন) (এবং) অণুত্তরংগইং ( মােক্ষগতি) পত্তো (প্রাপ্ত হইলেন ) ॥৪৮||
সিন্ধুসৌবীর দেশের শ্রেষ্ঠ রাজা উদায়ন প্রব্রজিত হইয়া মুনিধৰ্ম আচরণ করিলেন ও মােক্ষগতি প্রাপ্ত হইলেন ॥৪৮।
তহেব কাসীরায়া’, সেও সচ্চপরক্কমো।
কামভােএ পরিচ্চজ্জ, পহণে কম্মমহাবণং ॥৪৯। তহেব (তদ্রুপ ) সেওসচ্চপরক্কমো (শ্রেয়সত্যপরাক্রম =কল্যাণকারী সংযমে উদ্যমশীল ) কাসীরায়া (নন্দন নামক সপ্তম বলদেব কাশীদেশের রাজা) কামভােএ (কামভােগ =বিষয়সুখ) পরিচ্চজ্জ (পরিত্যাগ করিয়া) কম্মমহাবণং ( কর্মমহাবন=কর্মরূপ মহাবনকে) পহণে (উন্মলন করিলেন) ॥৪৯||
| তদ্রুপ কল্যাণকারী সংযমে উদ্যমশীল কাশীদেশের রাজা নন্দন নামক সপ্তম বলভদ্র বিষয়ভােগ পরিত্যাগ করিরা কর্মরূপী ঘাের অরণ্যকে উন্মলন করিলেন ॥৪৯।
রাজা ছিলেন, এবং তাহার অধীনে দশজন সামন্ত রাজা ছিলেন। উদায়ন উজ্জয়িনীর রাজা চণ্ডপ্রদ্যোতকে যুদ্ধে পরাজিত ও ধৃত করিয়া রাজধানীতে লইয়া আসেন এবং কিছুকাল পরে ছাড়িয়া দেন। ভগবান্ মহাবীর বীতভয়পুরে আগমন করিলে উদায়ন রাজ্য ত্যাগ করিয়া তাহার নিকট দীক্ষাগ্রহণ করেন এবং তাহার ভাগিনেয় কেশিকুমারকে রাজ্য প্রদান করেন। বহুদিন যাবৎ সংযম পালন করিয়া কেবলজ্ঞান সম্পন্ন হইয়া মুক্তি প্রাপ্ত হন। পরে রাজধানী বীতভয়পুর ভস্মবৃষ্টি দ্বারা ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এই আখ্যায়িকার প্রথমার্ধের সহিত উল্লিখিত উদায়ন ও চণ্ডপ্রদ্যোতের আখ্যায়িকার কতক মিল দেখা যায়। শেষ অংশের সহিত দিব্যাবদান নামক বৌদ্ধগ্রন্থে উল্লিখিত রুদ্রায়নের আখ্যায়িকার কতক মিল দেখিতে পাওয়া যায়। অনুসন্ধিৎসু পাঠক জৈনমতে বর্ণিত উদায়নের আখ্যায়িকা উত্তরাধ্যায়নের ১নং ও ২নং টীকা হইতে এবং বৌদ্ধগ্রন্থে বর্ণিত উপাখ্যানগুলি তত্তৎ গ্রন্থ হইতে বিস্তৃতভাবে অবগত হইতে পারিবেন। | ১। বারাণসী নগরীর অগ্নিশিখ নামক রাজার ঔরসে জয়ন্তী দেবীর গর্ভে নন্দন নামক পুত্ৰ উৎপন্ন হয়। ইহার ভ্রাতা দত্ত বাসুদেব ছিলেন এবং ইনি বলদেব। নন্দন বলদেব দীক্ষাগ্রহণ করেন, দীক্ষাগ্রহণ করিয়া কেবলজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া মুক্তি লাভ করেন। বাসুদেব ও বলদেবের বিবরণের জন্য ১১।২১ সূত্রের ৬নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য।
২। “শ্রেয়সি অতিপ্রশস্তে সত্যে সংযমে পরাক্রমঃ সামর্থং যস্যাসৌ শ্রেয়ঃসত্যপরাক্রমঃ।” ৩। কামভােগে’ টীকা ২ ও ৩।