________________
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র
যেমন তীক্ষ্ণ শৃঙ্গবিশিষ্ট, উপচিতককুদ্যুক্ত, যূথাধিপতি বৃষভ শোভিত হয় তদ্রূপ সঙ্ঘের পরিচালনার ভার গ্রহণে সমর্থ সাধুগণের অধিপতি বহুশ্রুত আচার্য শোভিত হন ৷৷১৯৷৷
১৬৮
জহা সে তিক্খদাঢ়ে, উদগ্গে' দুগ্গহংসএ’।
সীহে মিয়াণত পবরে, এবং হবই বহুস্থএ ॥২০ ||
জহা ( যেমন ) সে ( সেই ) তি দাঢ়ে ( তীক্ষ্ণদংষ্ট্রাবিশিষ্ট ) উদগ্গে ( উদগ্র=উগ্র ) দুপহংসএ ( দুপ্রধর্ষক = দুর্ধর্ষ ) সীহে ( সিংহ ) মিয়াণ ( মৃগদিগের মধ্যে = অরণ্যজন্তুগণের মধ্যে ) পবরে ( প্রবর= প্রধান ) ( হয় ) এবং ( এইরূপ ) বহুস্থএ ( বহুশ্রুত ) হবই ( হন ) ॥২০॥
যেমন তীক্ষ্ণ দংষ্ট্রাবিশিষ্ট, উগ্রবীর্য, দুর্ধর্ষ সিংহ পশুদিগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তদ্রূপ তীক্ষ্ণতর্কের দ্বারা প্রতিপক্ষের সিদ্ধান্ত ছিন্ন করিতে সমর্থ, অপরাজেয়, বহুশ্রুত আচার্য অন্যতীর্থিকগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ॥২০॥
জহা সে বাসুদেবেধ, সংখচক্কগয়াধরে।
অপ্পড়িহয়বলে জোহে, এবং হবই বহুস্থএ ॥২১৷
জহা ( যেমন ) সে ( সেই ) সংখচক্কগয়াধরে ( শঙ্খচক্রগদাধারী ) বাসুদেবে
১। “ওদগ গে” টীকা ৩ ৷
২। ‘দুপ্রধংসগে' টাকা ২ ৷
৩। ‘মিগাণ’ টীকা ২ ।
৪। জৈন শাস্ত্রানুসারে যেমন প্রত্যেক অবসর্পিণী ও উৎসর্পিণীতে ২৪ জন করিয়া তীর্থঙ্কর হন তদ্রূপ বারজন করিয়া চক্রবর্তী রাজা, নয়জন করিয়া বাসুদেব রাজা, নয়জন বলদেব ও নয়জন প্রতিবাসুদেব প্রাদুর্ভূত হইয়া থাকেন। ভারতবর্ষকে ছয় খণ্ডে বিভক্ত করা হয় । ভারতবর্ষের বর্তমান সীমা অপেক্ষা পুরাকালে হয়ত ইহার সীমা আরও বিস্তৃত ছিল। এই সম্পূর্ণ ছয়খণ্ড ভারতকে জয় করিয়া যিনি নিজের অধীনে আনয়ন করিতে সমর্থ হন তাঁহাকে চক্রবর্তী বলে ৷ বাসুদেব অর্ধ ভারত বা তিনখণ্ড ভারতকে নিজের অধীন করিতে সমর্থ হন। প্রতিবাসুদেব প্রথমে এই তিনখণ্ড ভারতবর্ষ জয় করেন কিন্তু পরে বাসুদেব প্রাদুর্ভূত হইয়া প্রতিবাসুদেবকে নিহত করিয়া সেই তিনখণ্ড ভারতবর্ষের অধিপতি হন। চক্রবর্তীর যেমন চক্র থাকে তদ্রূপ প্রতিবাসুদেব এবং বাসুদেব উভয়েরই চক্র থাকে। প্রতিবাসুদেব যুদ্ধে বাসুদেবকে নিহত করিবার জন্য চক্র নিক্ষেপ করেন। কিন্তু বাসুদেব সেই চক্রকেই ধরিয়া লইয়া সেই চক্রের দ্বারা প্রতিবাসুদেবকেই সংহার করেন। বাসুদেবের চক্রের নাম সুদর্শন ও শঙ্খের নাম পাঞ্চজন্য। বলদেব বাসুদেবের বড় ভ্রাতা । এবং ইঁহাদের উভয়ের মধ্যে অত্যন্ত