________________
কাপিলীয়ং
অষ্টম অধ্যয়ন
[ কৌশাম্বী নগরীতে জিতশত্রু নামক রাজা রাজ্য করিতেন। চতুর্দশবিদ্যাপরায়ণ কাশ্যপ নামক ব্রাহ্মণ রাজার অত্যন্ত সম্মানভাজন ছিলেন এবং রাজবৃত্তি প্রাপ্ত হইতেন। কাশ্যপ ব্রাহ্মণের যশা নাম্নী ভার্যার গর্ভে কপিল নামক পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। কপিলের বাল্যাবস্থাতেই কাশ্যপের মৃত্যু হয় এবং তৎস্থানে রাজা অন্য একজন ব্রাহ্মণকে নিযুক্ত করেন। একদা এই ব্রাহ্মণ মস্তকে ছত্র ধারণপূর্বক অশ্বারােহণে পরিভ্রমণ করিতেছিলেন। কপিলের স্ত্রী তাহা দেখিয়া রােদন করিতে লাগিলেন। কপিল মাতাকে ক্রন্দনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি উত্তর দিলেন যে তুমি বিদ্যা অর্জন না করায় রাজা তােমার পিতার স্থানে অন্য ব্রাহ্মণকে নিযুক্ত করিয়া বৃত্তি প্রদান করিতেছেন। মাতার কথায় কপিল বিদ্যাভ্যাস করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া শ্রাবস্তীনগরীতে তাঁহার পিতার মিত্র ইন্দ্রদত্ত নামক ব্রাহ্মণের নিকট পাঠাভ্যাসের জন্য গমন করেন। ইন্দ্রদত্ত তাহাকে বিদ্যাদান করিতে স্বীকার করিয়া নিজগৃহে রাখেন ও শালিভদ্র নামক জনৈক বণিকের গৃহে আহারের ব্যবস্থা করিয়া দেন। কপিল শালিভদ্রের গৃহে প্রত্যহ আহার করিতে যাইতেন এবং কর্মবশে শালিভদ্রের এক দাসীর সঙ্গে অনুরক্ত হইয়া পড়েন। সে দাসী গর্ভিণী হয় এবং কপিল তাহার সহিত পতিপত্নীরূপে বাস করিতে থাকেন। অর্থাভাবে কষ্ট পাওয়ায় দাসী পরামর্শ দেয় যে এই নগরীতে ধন নামক শ্ৰেষ্ঠী আছে সে প্রত্যহ প্রত্যুষে সর্বপ্রথমে আগত এক ব্রাহ্মণকে দুই মাষা পরিমাণ স্বর্ণ দান করে অতএব তুমি অতিপ্রত্যুষে উঠিয়া সেই শ্রেষ্ঠীর নিকট প্রার্থনা করিয়া স্বর্ণ আনয়ন কর। অন্য কোন ব্রাহ্মণ তাহার পূর্বে যাহাতে না যাইতে পারে তজ্জন্য কপিল মধ্যরাত্রে উঠিয়া শ্ৰেষ্ঠীর গৃহাভিমুখে প্রস্থান করেন কিন্তু পথিমধ্যে নগররক্ষকের দ্বারা চোর বলিয়া ধৃত হন। প্রভাতে নগরের রাজার নিকট আনীত হইলে কপিল তাহার সমস্ত বৃত্তান্ত অকপটে নিবেদন করেন। তাঁহার সত্যবাদিতায় রাজা সন্তুষ্ট হইয়া তাঁহাকে যথেচ্ছ প্রার্থনা করিতে অনুমতি দিলে কপিল বিবেচনা করিয়া প্রার্থনা করিব বলিয়া নিকটবর্তী অশােক বাটিকায় যাইয়া বিচার করিতে লাগিলেন। তিনি মনে করিতে লাগিলেন যে যদি দুই মাষা স্বর্ণ প্রার্থনা করি তাহা হইলে