________________
কাপিলীয়ং
১১৩
( আর্যগণের দ্বারা বা আচার্যগণের দ্বারা) এবং (এইরূপ) অকৃখায়ং ( আখ্যাত হইয়াছে) (যে ) পাণবহং (প্রাণবধকে ) অণুজাণে (অনুমােদন করিলে ) কয়াই (কদাপি) সব্বদুখাণং ( সর্বদুঃখ হইতে) হু (নিশ্চয়ই ) ন মুচ্চিজ্জ ( মুক্তি পাইবে না) |৮||
যাহাদিগের দ্বারা হিংসাদি হইতে নিবৃত্তিরূপ সাধুধৰ্ম কথিত হইয়াছে সেই আর্য তীর্থঙ্করগণ বা আচার্যগণের দ্বারা এইরূপ আখ্যাত হইয়াছে যে প্রাণিবধ অনুমােদন করিলে সর্বদুঃখ হইতে নিশ্চয়ই মুক্তি পাওয়া যায় না ॥৮॥
পাণে নাইবাইজ্জা, সে সমিএ ত্তি বুচ্চঈ তাই তও সে পাবয়ং কম্মং, ণিজ্জাই উদয়ং ব থলাও ||
( যে) পাণে (প্রাণকে = প্রাণিগণকে) নাইবাইজ্জা (অতিপাত না করে = বিনাশ না করে) সে (সেই ) তাঈ (ত্ৰায়ী=প্রাণিত্ৰাতা) সমিএ ত্তি ( সমিত ইতি=সমিতিযুক্ত) (বলিয়া) বুচ্চঈ (কথিত হয়) সে (তারপর ) তও (তাহা হইতে =সমিত সাধু হইতে) পাবয়ং (পাপ) কম্মং (কর্ম ) থলাও (স্থল হইতে =উচ্চ স্থান হইতে) উদয়ং ব ( উদকের ন্যায় ) নিজ্জাই ( নির্গত হয় ) ||| | যে সাধু প্রাণী বধ না করে সেই জীবনরক্ষাকারী সাধুকে সমিত অর্থাৎ পঞ্চ সমিতি দ্বারা যুক্ত বলা হয়। উচ্চস্থান হইতে জল যেমন সত্বর নির্গত হইয়া যায় তদ্রুপ সেই সমিত সাধুর নিকট হইতে পাপকর্ম দূরীভূত হয় ॥
১। সমিতি পাঁচ প্রকার যথা(ক) ঈর্য। সমিতি—গমনাগমনে মার্গ অবলােকন করিয়া চলা যাহাতে কোন জীবহিংসা হয়। | (খ) ভাষা সমিতি-অসত্য, অহিত ও অপ্রিয় ভাষা না বলা।
(গ) এষণা সমিতি—আহারাদি ভিক্ষা কবিবার সময় দোষ গুণ বিচার করিয়া নির্দোষ আহারাদি গ্রহণ করা।
(ঘ) আদাননিক্ষেপ সমিতি—কোন পদার্থ গ্রহণ করিবার বা স্থাপন করিবার সময় এইরূপভাবে সাবধানতা পুর্বক গ্রহণ ও স্থাপন করা যাহাতে জীবহিংসা না হয়। | (ঙ) উৎসর্গ সমিতি বা পারিষ্ঠাপনিক সমিতি—মলমুত্রাদি ও অন্যান্য অনুপযােগী বস্তু এইরূপ স্থানে সাবধানতাপূর্বক পরিত্যাগ করা যাহাতে প্রাণিহিংসা না হয়-তত্ত্বার্থসূত্র ৯৫ ও দ্বাদশ অধ্যায়ের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।