________________
নমিপ্রব্রজ্যা
নবম অধ্যয়ন
চইউণ দেবললাগাও, উববপ্নো মানুসংমি লােগমি।।
উবসংতমােহণিজ্জো, সরঈ পােরাণিয়ং জাইং |১|| দেবললাগাও (দেবলােক হইতে) চইউণ (চ্যুত হইয়া) মানুসংমি লােগংমি ( মনুষ্যলােকে) উববল্লো (উৎপন্ন ) ( হইয়া) উবসংতমােহণিজ্জো (উপশান্ত মােহনীয়) (নমি রাজা) পােরাণিয়ং (পৌরাণিক =পুরাতন, পূর্বজন্মের ) জাইং (জাতি=জন্ম ) সরঈ ( স্মরণ করিলেন ) ১॥
* মিথিলার অধিপতি নমিরাজ। চারিজন প্রত্যেক বুদ্ধের মধ্যে তৃতীয়। যিনি অন্য কাহারও উপদেশ ব্যতিরেকে পুর্বজন্মের সুকৃতির উদয়ে স্বয়ং বােধি প্রাপ্ত হন তাহাকে প্রত্যেক বুদ্ধ বলে। এইরূপ প্রত্যেক বুদ্ধ চারিজন যথা :-কলিঙ্গদেশের রাজা করকও, পঞ্চাদেশের রাজা দুষ্মহে বা দ্বিমুখ, বিদেহের রাজা নমি ও গান্ধার দেশের রাজা নগঈ বা নগাতি। নমিরাজ। বৈরাগ্য উদয়ে গৃহত্যাগ করিয়া নিষ্ক্রান্ত হইবার সময় দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক পরীক্ষিত হইয়াছিলেন, তাহা প্রশ্নোত্তররূপে এই অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে। আশ্চর্যের বিষয় যে এই অধ্যায়ে বর্ণিত শ্লোকগুলির মধ্যে কোন কোনটী যথাযথরূপে ও কোন কোনটা আংশিকভাবে মহাভারত, বিষ্ণুপুরাণ, দিব্যাবদান, জাতক, সংযুক্তনিকায়, মহাবস্তু, ধম্মপদ, খণ্ডনখাদ্য ও বৃহদারণ্যকোপনিষদের শঙ্করভাষে উদ্ধত হইয়াছে। ইহাতে মনে হয় যে এই উপাখ্যানটী এই অধ্যায়ে বর্ণিতরূপেই বহু প্রচলিত এবং লােকপ্রিয় ছিল। উত্তরাধ্যয়ন সূত্র ব্যতীত অন্য কোনস্থলে সম্পূর্ণ উপাখ্যানটী উপলব্ধ হয় না, তজ্জন্য এইরূপ অনুমান করা স্বাভাবিক হইয়া পড়ে যে এই অধ্যয়ন হইতেই কোন কোন অংশ উপরােক্ত অন্যান্য গ্রন্থে গৃহীত হইয়াছে। অন্য গ্রন্থে উদ্ধত অংশগুলি যথাস্থানে উল্লেখ করা হইল।
১। দেবলােকের জন্মের আয়ুক্ষয়ে মৃত্যু প্রাপ্ত হইয়া তথা হইতে সেই জীবের মনুষ্যলােকের দিকে জন্মগ্রহণ করিবার জন্য অবতীর্ণ হওয়াকে দেবলোক হইতে চ্যবন বা চ্যুত হওয়া বলে। “এক জন্মসে দুসরে জন্ম মে অবতীর্ণ হােন” পা. স. ম। ৩১৬ সূত্রের ২নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য।
২। “উপশান্ত অনুদয়প্রাপ্তং মােহণীয়ং দর্শনমােহণীয়ং যস্যাসাবুপশান্তমােহণীয়ঃ” টীকা ৩। কর্ম সম্বন্ধে ১৪৮ সূত্রের ২নং পাদটীকায় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হইয়াছে। দ্রব্য কর্ম আট ভাগে বিভক্ত যথা :-১। জ্ঞানাবরণীয়, ২। দর্শনবরণীয়, ৩। বেদনীয়, ৪। মােহণীয়, ৫।