________________
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র
মরণকালে উদ্ভূত দুই প্রকার স্থিতির কথা যে উক্ত হইয়াছে তন্মধ্যে ভগবান্ মহাবীরের দ্বারা প্রথম প্রকার স্থিতির বিষয়ে বলা হইয়াছে যে কামাসক্ত অবিবেকী পুরুষ হিংসাদি অত্যন্ত ক্রূর কর্ম করিয়া অকাম মরণ প্ৰাপ্ত হয় ॥৪॥
৬৮
জে গিদ্ধে কামভোগেস্থ, ' এগে কুড়ায় গচ্ছঈ। ন মে দিষ্ঠে পরে লোএ, চক্ষুদিষ্ঠা ইমা রঈ ॥৫॥
জে এগে ( যে কোন ব্যক্তি) কামভোগেস্থ ( কামভোগে = শব্দাদি বিষয়ভোগে ) গিদ্ধে ( গৃদ্ধ= আসক্ত ( হয় যে ) কুড়ায় ( কূটে = =নরকে ) গচ্ছঈ ( যায় ) । ( সেই কামাসক্ত ব্যক্তি বলে যে ) মে ( আমার দ্বারা ) পরে লোএ ( পরলোক ) ন দিষ্ঠে ( দৃষ্ট হয় না ) ( কিন্তু ) ইমা ( এই ) রঈ (রতি= কামভোগজনিত সুখ ) চক্খুদিষ্ঠা ( চক্ষুর দ্বারা দৃষ্ট= প্রত্যক্ষ দৃষ্ট, প্ৰত্যক্ষানুভূত ) ॥৫॥
যে ব্যক্তি কামভোগে আসক্ত হয় সে নরকে গমন করে। সে বলে যে আমি পরলোক দেখিতে পাই না ( তথায় সুখ কি দুঃখ পাইব কে জানে ) কিন্তু এই রতিজনিত সুখ প্রত্যক্ষ অনুভব করিতেছি, অতএব ইহা ত্যাগ করা উচিত নয় ) ॥৫॥
হখাগয়া ইমে কামা, কালিয়া জে অণাগয়া ।
কো জাণই পরে লোএ, অখি বা নখি বা পুণো ॥৬॥
( সেই কামাসক্ত ব্যক্তি বলে যে ) ইমে ( এই প্রত্যক্ষানুভূত ) কামা ( কামভোগ ) হখাগয়া ( হস্তগত ) ( হইয়াছে ) জে ( যাহা ) অণাগয়া ( অনাগত = পরজন্মে হইবে ) ( তাহা ) কালিয়া (কালিকা = অনিশ্চিত কালে উৎপন্ন, অনিশ্চিত ) পুণো ( আবার ) কো জাণই ( কে জানে ) পরেলো ( পরলোক ) অখি ( আছে ) বা নখি ( বা নাই ) |৬||
সেই কামাসক্ত ব্যক্তি বলে যে এই প্রত্যক্ষানুভূত কামভোগ অনায়াসলব্ধ হইয়াছে, পরজন্মে যাহা হইবে তাহা ভবিষ্যৎকালের গর্ভে নিহিত। কে জানে
১। “কামা দ্বিবিধাঃ প্রজ্ঞপ্তাঃ শব্দা রূপাণি চ, ভোগান্ত্রিবিধাঃ প্রজ্ঞপ্তাঃ তথা গন্ধা রসাঃ স্পর্শাশ্চ” টীকা ৩ পাদটীকা ৷
২। “কালে সম্ভবন্তীতি কালিকাঃ অনিশ্চিতকালান্তর প্রাপ্তয়ঃ” টাকা ৩।