________________
অকামমরণীয়
পরলোক আছে কি না। ( অতএব উপস্থিত কোন ভোগসুখ পরিত্যাগ করিয়া অনাগত ও অনিশ্চিত সুখের জন্য চিন্তা করিবার আবশ্যকতা কি ? ) ||৬||
জণেণ সদ্ধিং হোক্খামি, ইই বালে পগন্তুঈ । কাম ভোগাণুরাএণং, কেসং সংপড়িবজ্জঈ ॥৭॥
৬৯
( আমি ) জণেণ ( জনের = - লোকের) সদ্ধিং ( সহিত ) হোক্খামি ( হইব ) ইই ( এইরূপ ) বালে (অজ্ঞান = মুর্খ ) পগঈ ( প্রগল্ভ বাক্য বলে-ধৃষ্টবাক্য বলে (এবং ) কামভোগাণুরাএণং ( কামভোগের অনুরাগে ) কেসং ( ক্লেশ ) সংপড়িবজ্জঈ ( সম্প্রাপ্ত হয় ) ॥৭॥
‘লোকে যাহা করিবে আমিও তাহাই করিব' অর্থাৎ অন্য সকলে ভোগাসক্ত আমিও তদ্রূপ হইব এরূপ ধৃষ্টতাজনক বাক্য মূর্খেরাই বলিয়া থাকে এবং কামাসক্ত হইয়া ক্লেশ প্ৰাপ্ত হয় ॥৭॥
তও সে দংডং' সমারভঙ্গ, তসেসু থাবরেসুত য়। অট ঠাএ য় অণট ঠাএ, ভূয়গামং বিহিংসঈ ॥৮॥
তও ( তৎপরে ) সে ( সেই কামাসক্ত ব্যক্তি ) তসেস্থ ( এস জীবের প্রতি ) য় ( ও) থাবরেস্থ ( স্থাবর জীবের প্রতি ) দংডং ( দণ্ড= মন বচন ও কায়ের দ্বারা পীড়ন ) সমারভঈ ( আরম্ভ করে ) ( এবং ) অটঠাএ ( অর্থের জন্য =
১। “দণ্ড্যতে সংযমসর্বস্বাপহরণেনাত্মা অনেনেতি দণ্ডো মনোদণ্ডাদিস্তং” টাকা ৩। “দণ্ডং মনোদণ্ডবাক্কায়ৈঃ পীড়াং” টীকা ১। জৈন শাস্ত্রে দণ্ড তিন প্রকার যথা :-মনো দণ্ড, বচনদণ্ড ও কায়দণ্ড ৷ মন বচন ও কায়ের অশুভ প্রবৃত্তি যাহা আত্মার গুণকে বিনাশ করে ও অন্য প্রাণীকেও বিনাশ করে তাহাকে দণ্ড বলে ।
२।
যে সমস্ত প্রাণী চলৎশক্তিসম্পন্ন তাহাকে এস কহে। দ্বীন্দ্রিয়, ত্রীন্দ্রিয়, চতুরিন্দ্রিয় ও পঞ্চেন্দ্রিয় প্রাণিগণকে এস কহে, প্রথম অধ্যায়ের ৩৫ শ্লোকের পাদটীকা দ্রষ্টব্য ।
৩। যে সমস্ত জীব চলচ্ছক্তিসম্পন্ন নয় এবং এক স্থানে স্থির থাকে তাহাকে স্থাবর কহে ইহাদের মাত্র একটি স্পর্শন্দ্রিয় আছে। তজ্জন্য ইহারা একেন্দ্রিয় পর্যায়ভুক্ত। মৃত্তিকা, প্রস্তর, ধাতু প্রভৃতিকে পৃথ্বীকায়, জলকে অকায়, বায়ুকে বায়ুকায়, অগ্নিকে তেজস্কায় ও বৃক্ষলতা গুল্মাদিকে বনস্পতিকায় বলা হয়। ইহারা সমস্তই স্থাবর ও একেন্দ্রিয় পর্যায়ভুক্ত। বায়ু ও অগ্নি গতিশীল, তজ্জন্য কোন কোন আচার্য এই দুই বিভাগের একেন্দ্রিয় জীবকে এস পর্যায়ের মধ্যে গণনা করিয়াছেন । জল স্বয়ং চলচ্ছক্তিসম্পন্ন নহে কিন্তু ভূভাগের ক্রমনিম্নতার জন্য বায়ুর প্রভাবে অথবা অন্য কোনও শক্তির দ্বারা চালিত হইলে গতিশীল হইয়া থাকে তজ্জন্য ইহাকে কোন আচার্যও এস পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করেন নাই ।