________________
অকামমরণীয়
এবং সিকৃথা সমাবগ্নে', গিহবাসেবি সুব্ব। মুচ্চঈ ছবিপব্বাও, গচ্ছে জখসলােগয়ং |২৪||
এবং (এইরূপে =উপরে লিখিত রূপ) সিক্খাসমাবগ্নে (শিক্ষাসমাপন্ন শিক্ষাপ্রাপ্ত, পূর্বশ্লোক লিখিত শ্রাবকাচারযুক্ত) গিহবাসেবি (গৃহস্থাবাসে থাকিয়াও) সুব্বএ (সুব্রত = নির্দোষব্রতপালক) ( হইলে) ছবিপব্বাও (অস্থিমাংসত্বগাদিযুক্ত শরীর হইতে =ঔদারিক শরীর হইতে) মুচ্চঈ (মুক্ত হয় (এবং) জখসলােগয়ং (যক্ষসলােকত্ব = যক্ষ অর্থাৎ দেবগণের সহিত সমান লােকত্ব ; অর্থাৎ দেবজাতিত্ব) গচ্ছে (প্রাপ্ত হয় ) |২৪|| | গৃহস্থগণও পূর্বশ্লোকে বর্ণিত সদাচারযুক্ত হইয়া গৃহবাসে থাকিয়াও নির্দোষভাবে ব্রত পালন করিতে থাকিলে এই অস্থিমাংসের দেহ হইতে মুক্ত হইয়া দেবলােকে গমন করে ॥২৪||
১। “সিক্খাসমান্না’ টীকা ৩। “শিক্ষা ব্ৰতাসেবনত্মিকয়া সমাপন্নো যুক্ত” টীক। ৩।
২। “ছবিঃ ত্বক পর্বণি চ জানুকুপরাদীনি ছবিপর্ব উদ্যোগদৌদারিকশরীরমপি ছবিপর্ব ততঃ” টীকা ৩।
৩। জৈনশাস্ত্রে শরীর পাঁচ প্রকার। যথা ঔদারিকবৈক্রিয়াহারকতৈজসকামণানি শরীরণি-তত্ত্বাৰ্থ সূত্র ২৩৭ অর্থাৎ ঔদারিক, বৈক্রিয়, আহারক, তৈজস ও কামণ এই পাঁচ প্রকার শরীর।
| ঔদারিক—মনুষ, পশু, পক্ষী, কীট, পাতঙ্গ প্রভৃতি তির্যক যোনিসস্তৃত এই পৃথিবীতে উৎপন্ন প্রাণিগণের যে শরীর, যাহা অস্থি, মাংস, রস ও রক্তাদি দ্বারা নির্মিত এবং যাহা শস্ত্রাদি দ্বারা ছেদন, ভেদন ও অগ্নির দ্বারা দহন করা যায় তাহাকে ঔদারিক শরীর কহে। এই শরীর বিশেষ প্রকারের পুদগলের দ্বারা রচিত যাহাকে ঔদারিক বর্গণীর পুদগল বলে।
বৈক্রিয়—এই শরীর দেবলােকে এবং নরকে উৎপন্ন দেব ও নারক জীবের হইয়া থাকে এবং মনুষগণের মধ্যে কাহারও কাহারও এক বিশেষ প্রকার লব্ধি (শক্তি) প্রাপ্ত হইলে এই শরীর উৎপন্ন করিবার শক্তি হয়। যে শরীরকে বিস্তার ও সংকোচ এবং এক ও বহু রূপে পরিবর্তনরূপ বিক্রিয়াসম্পন্ন করা যায় তাহাকে বৈক্রিয় শরীর কহে, ইহা ঔদারিক শরীর অপেক্ষা সূক্ষ্মতর এবং ইহা মনুষের দৃষ্টিশক্তির গ্রাহ্য নহে।
আহারক—চতুর্দশ পুর্বের জ্ঞানসম্পন্ন কেবলী সাধুর কোন সংশয়াদি উৎপন্ন হইলে তাহা নিরাকরণ করিবার জন্য তিনি স্বীয় শক্তিবলে বিশেষ প্রকার পরমাণ সমুহ আহরণ করিয়া একহস্ত পরিমিত একটী মনুষ্য শরীর রচনা করেন এবং তাহাকে অন্যক্ষেত্রে বিরাজিত তীর্থঙ্করের নিকট প্রেরণ করিয়া নিজ সংশয়ের উত্তর আনয়ন করেন। এই শরীরকে আহারক শরীর কহে।