________________
ছয়
মধ্যে কেবল জৈন শাস্ত্র ও বাত্ময়ই বাঙ্গালা ভাষায় অবহেলিত রহিয়াছে। | অথচ প্রাচীনত্বে, প্রসারে, মূল্যবত্তায় এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে জৈন সাহিত্য বৌদ্ধ সাহিত্য অপেক্ষা কোনও অংশে হীন নহে, এবং ভারতের সম্বন্ধে জ্ঞানের পরিপূর্তি ইহার অভাবে সম্ভবপর নহে। এখন জৈন সম্প্রদায়, যাহার মধ্যে নানা বিপৰ্যয় সত্ত্বেও এই সাহিত্য রক্ষিত ও পরিবর্ধিত হইয়া আছে, সংখ্যায় বিশেষ লক্ষণীয় নহে—সমগ্র ভারতে জৈনগণের সংখ্যা এখন ১৫ লাখের অধিক নহে, এবং সমগ্র ভারতময় জৈনগণ জাতি হিসাবে আর সর্বত্র প্রস্ত নহে-জৈনগণের ব্যাপকভাবে বাস, মাত্র কর্ণাটকে, গুজরাটে ও রাজস্থানে, এবং কিছু পরিমাণ পূর্ব-পাঞ্জাবে পাওয়া যায়; এবং দেশের কতকগুলি প্রান্তে এখনও কচিৎ স্থানীয় সম্প্রদায় হিসাবে জৈনমতাবলম্বী লােক কিছু কিছু বিদ্যমান আছে। যেমন মানভূমের সরাকী (বা শ্রাবক) নামধারী বঙ্গভাষী জাতির কথা বলা যায়। কিন্তু এক সময়ে জৈনগণ সমগ্র উত্তর-ভারতে ব্রাহ্মণ্য-মতাবলম্বী ও বৌদ্ধগণের প্রতিস্পর্ধী বা সমকক্ষ ও কুচিৎ সর্বাপেক্ষা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় রূপে অবস্থান করিত। মথুরা এক সময়ে জৈনদের একটী লক্ষণীয় কেন্দ্র ছিল। বাঙ্গালা দেশে জৈনদের অস্তিত্ব কমে একেবারে লােপ পাইয়া যায়—এখন বাঙ্গালার জৈনগণ গত ২৩ শত বৎসরের মধ্যে পাঞ্জাব ও রাজস্থান হইতে ব্যবসায়-সূত্রে আসিয়া বসবাস করিতেছেন মাত্র, এবং তাহাদের সাংস্কৃতিক যােগ ঐ-সমস্ত অঞ্চলের সঙ্গে এখনও অটুট আছে। কিন্তু এই বাঙ্গালা দেশেই এক সময়ে, এখন হইতে দেড় হাজার বৎসর পূর্বে, জৈনগণ বিশেষভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বৌদ্ধ দিব্যাবদান”
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org