________________
পঁচ
অথবা এগুলির বিচার-ধারা পরবর্তী কালের অন্য নানা সম্পদায়ের মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া গিয়া পরিবর্তিত আকারে রক্ষিত হইয়া আসিয়াছে। প্রাচীন ভারতকে সম্যক্ রূপে বুঝিতে হইলে, এবং প্রাচীনের উপরে আধারিত আধুনিক ভারতকেও জানিতে হইলে, প্রাচীন ভারতধর্মের প্রকাশ-ক্ষেত্ৰ এই-সমস্ত সম্প্রদায়, দার্শনিক মতবাদ, বিচার-ধারা ও অনুষ্ঠানাদিকে যথাযােগ্য আমাদের পরিচিত করিয়া লইতে হইবে। এই পরিচয়ের সাধন বিভিন্ন প্রাচীন আর্য ভাষায় রক্ষিত হইয়া আছে—যেমন বৈদিক ও লৌকিক সংস্কৃত, পালি, অর্ধমাগধী ও অন্য নানা প্রাকৃত, ও বৌদ্ধ সংস্কৃত। বাঙ্গালা ভাষার মাধ্যমে এই-সমস্ত সাধন লইয়া আললাচনাকে আধুনিক বঙ্গীয় সংস্কৃতির-ই একটী আবশ্যক প্রকাশ-ভূমি বলিতে হয়। ইংরেজী ভাষা, আধুনিক বিশ্ব-সভ্যতার প্রধান বাহন বলিয়া, ইতিমধ্যেই অনুবাদ ও বিচার-বিশ্লেষণাত্মক সাহিত্যের সহায়তায় এই ভাবে সংস্কৃতি-চর্চার প্রধানতম ক্ষেত্র হইয়া দাঁড়াইয়াছে। ব্রাহ্মণ্য দর্শন ও চিন্তাধারার আলােচনায় আধুনিক কালে বাঙ্গালা ভাষা লক্ষণীয় অংশ গ্রহণ করিয়াছে, যদিও প্রধানতম শাস্ত্রগ্রন্থগুলির অনুবাদ ও সেইগুলির বিচারকে লইয়া বাঙ্গালায় এযাবৎ যাহা করা হইয়াছে তাহাকে পর্যাপ্ত বলা চলে না। বৌদ্ধ শাস্ত্রও বাঙ্গালা ভাষায়, মুখ্যতঃ চট্টগ্রামের বাঙ্গালী বৌদ্ধগণের কল্যাণে তাহার সম্মানিত স্থান করিয়া লইয়াছে—বৌদ্ধ পুলি পিটকের একটা বড় অংশ বঙ্গাক্ষরে ও বঙ্গানুবাদের সহিত প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে। স্বয়ং ঈশানচন্দ্র ঘােষ মহাশয় সমগ্র পালি জাতক গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ করিয়া বঙ্গভাষার সাহিত্য-সম্পদ বৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন। ব্রাহ্মণ্য, জৈন ও বৌদ্ধ, এই ত্রয়ীর
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org