Book Title: Acharang Sutra
Author(s): 
Publisher: 

View full book text
Previous | Next

Page 5
________________ ভারতের প্রাচীন ধর্মসাহিত্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে ইহাকে ত্রিবেণীসঙ্গম বলা যাইতে পারে। তিন সম্প্রদাযের ত্রিবিধ সাহিত্যের মিশন এই সুবিশাল ধর্মসাহিত্য গডিয়া উঠিয়াছে। ভাবতীয় সস্কৃতিক জানিতে হইলে এই ত্রিবিধ সাহিC্যের অনুশীলন কনিতে হবে। এই ত্রিব সঙ্গমের শাখা তিনটি বৈদিক, বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য নামে পরিচিত। বৈদিক ও বৌদ্ধ সাহিত্য যেমন সেই সেই ধমাবম্বীদব চার শনুষ্ঠান ও ধ্যাত্মিক সাধনার বিষয় কধি হইয়াছে সেইরূপ জৈন সাশিত্যেও সেই ধর্মাবলম্বীদের আচার অনুষ্ঠান ও আধ্যাত্মিক সাধনাৰ কথা বর্ণিত হইয়াছে। বেদিক সাহিত্যের যুণ গ্রন্থ বেদ, উপনিষদ আদি, বৌদ্ধ সাহিত্যের মূল গ্রন্থ পালি ত্রিপিটক এব জৈন সাহিত্যের মূল গ্রন্থ গম বা এত নামে অভিহিত হয়। এই ধর্মশাস্ত্র ভাষাতত্ত্বের দৃrিডও অনুশীশানৰ যোগ্য। এই ত্রিবিধ ধর্মশাস্ত্রর মূশ গ্রন্থগুলির ভাষাও ত্রিবিধ। বেকার ভাষা সস্কৃত, পিটকেব ত যা পানি এব’ আগমৰ ভাষা অর্ধমাগধী প্রকি! | বেদ ও ব্রাহ্মণ গ্রন্থ যদিও প্রবৃত্তি-প্রধান আচার অনুষ্ঠানের প্রাধান্য আছে, তথাপি উপনিষদ প্রভৃতি এব বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মশাস্ত্র নিবৃমিাের্গকই প্রাধা দেওয়া হইয়াছে। মানসিক ও সা সারিক বন্ধন হইতে নিবৃত্তি বা মুক্তি লাভের বিষয়ে ইহাদেব ম তর ঐক্য থাকিলেও মুক্তিৰ সাধন সম্বন্ধে ছুি মাভ দেখিতে পাওয়া যায়। উপনিষৰ আদিতে ভয়ানমার্শেই প্রাধাঠ। সত্যমিখ্যাবিবেক বা ব্ৰহ্ম স্থান হইল মুক্তি হয় অন্য উপায়ে হয় না এই মত যাহারা স্বীকার করেন, তাহারা অনিমাগী। বৌদ্ধ শাস্ত্রে ধ্যানকেই প্রধান স্থান দেওয়া হইয়াছে। ধ্যানের দ্বারাই বস্তুব ক্ষণিক, অনিত্য ও দুখময় প্রতিভাত হইশে বিাণ লাভ হয়। শারীরিক কষ্টপ্রদ তপস্থাদির হাতে নিষেধই করা হইয়াছে। জৈনধর্ম শাস্ত্র চারিত্র ব স যনকেই প্রধান স্থান দেওয়া হইয়াছে। জৈনধর্মশাস্ত্রে গাদ্বষকে সংসারের কাবণ বলা হয়। রাগদ্বোষ বশীভূত হইয়াই প্ৰা মন দ্বারা অন্য প্রাণীব শুভ চিন্তা কৰে বাক্য দ্বারা এব।

Loading...

Page Navigation
1 ... 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 ... 80