________________
আমি কে ?
স্বয়ং স্বতন্ত্র কর্তানও কিন্তু নৈমিত্তিক কর্তা। মানে পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে কর্তা। পার্লামেন্টারি পদ্ধতি মানে ? যেমন পার্লামেন্টে সবার ভােটিং হয়, আর ফের শেষে নিজের ভােট হয়। তার আধারে নিজে স্বয়ং বলে যে। এ’তাে আমাকে করতে হবে। এই হিসাবে কর্তা হয়, এইভাবে যােজনার সৃষ্টি করে। নিজে স্বয়ংই যােজনা করে। কর্তাপন কেবল যােজনাতেই থাকে। যােজনাতে ওর সই থাকে। কিন্তু সংসারের লােকেরা এটা জানে
। এটা ব্যষ্টি কম্পিউটার, ছােট কম্পিউটারের মত। যেমন ছােট কম্পিউটারে যা ফীড করা হয়েছে তা বার হয় আর বড় কম্পিউটারে তা ফীড় হয়ে যায়। সেইরকমই এই যােজনা সৃষ্ট হয়ে বড় কম্পিউটারে যায়। বড়কম্পিউটার হল সমষ্টি কম্পিউটার—সেটা এর বিসর্জন করে। এইজন্যে এই জন্মে সমস্ত লাইফ বিসর্জনরূপে থাকে, যার সৃষ্টি গত জন্মে করা হয়েছে। সেইজন্যে এই জীবনে, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিসর্জন স্বরূপেই আছে। নিজের হাতে কিছু নেই, সব পরসত্তাতে আছে। একবার যােজনা হয়ে গেলে সব পরসত্ত্বাতে চলে যায়। পরিণামে পরসত্ত্বার-ই নিয়ন্ত্রণে থাকে। অর্থাৎ পরিণাম আলাদা। পরিণাম পরসত্ত্বার অধীন। বুঝতে পারছ ? এ অতি গূঢ় কথা।
কর্তাপদ থেকে কর্মবন্ধন! প্রশ্নকর্তা : এই কর্মের বন্ধন থেকে মুক্তির জন্য কি করবাে ?
দাদাশ্রী : এই কর্মকর্তার অধীন। এইজন্যে কর্তা হলে তবেই কর্ম হবে। কর্তা না হলে কর্ম হবেনা। কর্তা কেমন করে হয় ? আরােপিত ভাবে গিয়ে বসার জন্যে-ই কর্তা হয়েছে। নিজের মূল স্বভাবে আসলে স্বয়ং কর্তা হবেইনা। আমি করেছি' এইরকম বলেছাে, এইজন্যে কর্তা হয়েছে। মানে কর্ম-কে আধার দিয়েছে। এখন নিজে যদি কর্তা না হও তাে কর্ম থাকবে না, নিরাধার করলে কর্ম থাকবে না। মানে যতক্ষণ কর্তাপদ আছে ততক্ষণ কর্ম-ও আছে।