________________ আমি কে ? | 55 “মন-বচন-কায়ার অবস্থামাত্র কুতী (প্রাকৃতিক) রচনা (only Scientific Circumstantial Evidence), যার রচনাকর্তা কোন বাবা-ও নয় আর এটা ব্যবস্থিত। “নিশ্চেতন চেতন-এর একটা-ও গুণ ‘শুদ্ধচেতন’-এ নেই আর ‘শুদ্ধচেতন’-এর একটা-ও গুণ নিশ্চেতন চেতন-এ নেই। দুজনে সর্বদা আলাদা আলাদাই আছে।” “চঞ্চল অংশে যতরকমের ভাব আছে তানিশ্চেতন চেতন-এর ভাব আর শুদ্ধচেতন যা অচল তার ভাব নেই।” হে প্রভু! ভ্রান্তিবশতঃ আমি ‘শুদ্ধচেতন’-এর ভাব উপরােক্ত সূত্র অনুসারে এই’-ই হয় এরকম যথার্থরূপে, যেমন আছে তেমন বুঝতে পারিনি, কারণ নিষ্পক্ষপাতীভাবে আমি নিজেকে নিজে নিরীক্ষণ করে বুঝতে পেরেছি যে আমার ভিতর থেকে আমার অন্তরক্লেশ তথা কলহঅশান্তি যায়নি। হে প্রভু! এইজন্য আমার অন্তরক্লেশ প্রশমণ হেতু আমাকে পরম শক্তি দিন। এখন আমার এই শুদ্ধভাব যেমনটি তেমন বােঝা ছাড়া আর কোন কামনা নেই। আমি কেবলমাত্র মােক্ষ-ইকামনা করি। সেইহেতু আমার দৃঢ় অভিলাষ এই যে আমি ‘সপুরুষ’-এর বিনয় আর জ্ঞানীপুরুষের পরম বিনয়’-এ থেকে, আমি কিছুই জানি না এরকম ভাবপূর্বক-ই থাকি। উপরােক্ত জ্ঞানসূত্র-এর অনুসার শুদ্ধভাব আমার শ্রদ্ধাতে আর জ্ঞান আসে না। যদি এই ভাব আমার দৃঢ় শ্রদ্ধাতে আসে তবেই আমি অনুভব করতে পারব যে আমার যথার্থ সম্যকদর্শন হয়েছে। এর জন্য মুখ্যতঃ দুটো জিনিষেরই প্রয়ােজন? (1) “আমি পরমসত্য জানার-ই কামনা করি এই ভাবনিষ্ঠা। 2) পরমসত্য জ্ঞানীপুরুষ-এর আজ্ঞার সম্পূর্ণ আরাধনাতেই প্রাপ্ত হয়। | ‘জ্ঞানীপুরুষ’-এর প্রত্যক্ষ যােগ ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। এইজন্য আমি প্রত্যক্ষ ‘জ্ঞানীপুরুষ'-এর সন্ধানেই থাকব আর তার সংযােগ প্রাপ্ত হলে আমি তারই আজ্ঞার আরাধনায় থাকার দৃঢ় নির্ণয় নিশ্চয়করছি। আমার এই কামনা সফল হােক, সফল হােক, সফল হােক। * * * * *