________________
আমি কে ?
দাদাশ্রী : এখন আমি এই মার্গ (রাস্তা) পেয়েছি আর শুদ্ধাত্মার যে প্রথম বাউণ্ডারি (সীমানা) আছে, তার প্রথম দরজায় প্রবেশকরতে পেরেছি যেখান থেকে কেউ বাইরে বার করে দিতে পারবে না। কারাের বাইরে বার করে দেওয়ার অধিকার নেই এরকম জায়গায় তুমি প্রবেশ পেয়েছাে।
বারবার কে সচেতন করে ? প্রজ্ঞা ! জ্ঞানপ্রাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রজ্ঞা শুরু হয় না। অথবা সম্যকত্ব প্রাপ্ত হলে প্রজ্ঞা শুরু হয়। সম্যকত্বে প্রজ্ঞা কিরকম ভাবে শুরু হয় ? দ্বিতীয়ার চাদের মত শুরু হয়। আর আমাদের এখানে তাে পূর্ণ প্রজ্ঞা উৎপন্ন হয়। ফুল (পূর্ণ) প্রজ্ঞা মানে তা শুধু মােক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্যেই সচেতন করতে থাকে। ভরত রাজাকে তাে সচেতন করার জন্যে লােক রাখতে হয়েছিল, চাকর রাখতে হয়েছিল। যে প্রত্যেক পনেরাে মিনিট পর পর বলতাে, ভরত রাজা ! সাবধান, সাবধান, সাবধান !!! তিন বার আওয়াজ দিত। দেখাে, তােমাকে তাে ভিতর থেকেই প্রজ্ঞা সচেতন করতে থাকে। প্রজ্ঞা নিরন্তর সচেতন করতে থাকে, এই, এরকম নয়। সারাদিন সচেতন করতে থাকে আর এটাই আত্মার অনুভব, নিরন্তর, সারাদিন-ই আত্মার অনুভব !
অনুভব অন্তরে হবে-ই! যে দিন জ্ঞান দিই, সেই রাতের যে অনুভব তা চলে যায় না। কি ভাবে যাবে ? আমি যেদিন জ্ঞান দিয়েছিলাম না, ওই রাতের যে অনুভব ছিল তা চিরদিনের জন্য। কিন্তু পুনরায় তােমার কর্ম তােমাকে ঘিরে ধরে। পূর্বকর্ম, যা ভােগ করেই শেষ করতে হবে, সেই ‘চাইতে আসা ঘিরে ধরে, তার আমি কি করবাে ?
প্রশ্নকর্তা : দাদাজী, কিন্তু এখন আর এত ভুগতে হয় না।
দাদাশ্রী :তা মনে না হলে সেটা আলাদা কথা, কিন্তু বেশী সংখ্যায় যদি চাইতে আসে তাহলে তাকে বেশী করে ঘিরে ধরবে। পাঁচ চাইতে | এলে পাঁচ, দুই চাইতে এলে দুই আর কুড়ি চাইতে এলে কুড়ি। আমি
তাে তােমাকে শুদ্ধাত্মাপদে বসিয়ে দিয়েছি কিন্তু ফের দ্বিতীয়দিন সব চাইতে এলে তখন একটু সাফোকেশন হবে।