________________
আমি কে ?
45
এখন কী বাকী রইলো ?
ওটা ক্রমিক বিজ্ঞান আর এটা অক্রম বিজ্ঞান। এই জ্ঞান তো বীতরাগীদের-ই জ্ঞান। জ্ঞানে কোন পার্থক্য নেই। আমার জ্ঞান দেওয়ার পরে, আত্মা-অনুভব হওয়ার পরে আর কি কাজ বাকী থাকে ? জ্ঞানীপুরুষের ‘আজ্ঞা’–র পালন। ‘আজ্ঞা’–ই ধর্ম আর ‘আজ্ঞা’–ই তপ । আর আমার আজ্ঞা সংসার (ব্যবহারে) একটুও বাধাস্বরূপ হয় না। সংসারে থেকেও সংসারের কোন প্রভাব না পড়ে এমনই এই অক্রমবিজ্ঞান ।
সত্যিই যদি একাবতারী (একটাই জন্ম বাকী এরকম) হতে হয় তো আমার আজ্ঞা পালন করে চলো। এই বিজ্ঞান একাবতারী। এটা বিজ্ঞান, তবু এখান থেকে (ভরত ক্ষেত্র থেকে) সরাসরি মোক্ষে যেতে পারবে এরকম (সম্ভব) নয়।
মোক্ষমার্গে আজ্ঞাই ধৰ্ম ...
যাকে মোক্ষে যেতে হবে তার কোন ক্রিয়া করার প্রয়োজন নেই ৷ যাকে দেবযোনিতে যেতে হবে, ভৌতিক (সাংসারিক) সুখের কামনা যার আছে তার ক্রিয়া করার প্রয়োজন আছে। মোক্ষে যেতে হলে জ্ঞান আর জ্ঞানীর আজ্ঞা, এই দু'য়ের প্রয়োজন।
মোক্ষমার্গে তপ-ত্যাগ কিছুই করতে হয় না। শুধু জ্ঞানীপুরুষকে পেলে সেই জ্ঞানীর আজ্ঞাই ধর্ম আর আজ্ঞাই তপ, আর এই-ই জ্ঞান, দর্শন, চারিত্র আর তপ যার প্রত্যক্ষ ফল মোক্ষ।
জ্ঞানী-র কাছে থাকবে !
জ্ঞানীর প্রতি কখনও প্রেমভাব হয়নি। জ্ঞানীর উপর প্রেমভাব হলে তাতেই সমস্ত কিছুর সমাধান হবে। প্রত্যেক জন্মে স্ত্রী-সন্তানাদি ছাড়া আর কিছু তো হয়-ই না!
ভগবান বলেছেন যে জ্ঞানীপুরুষের কাছ থেকে সম্যকত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পরে জ্ঞানীপুরুষের পিছনে লেগে থাকবে।