________________
আমি কে ?
বলতে হবে, ভাই, কেউ দুঃখ পায় এরকম অতিক্রমণ কেন করছাে ? এরজন্যে প্রতিক্রমণ করাে।
কেউ দুঃখ পায় এরকম যদি কিছু বলাে তাে তাকে অতিক্রমণ করা বলা হয়। এর প্রতিক্ৰমণ করা উচিৎ।
প্রতিক্ৰমণ মানে তুমি বুঝতে পারবে যে এইভাবে ওর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দোষ করেছি এটা আমি বুঝতে পেরেছি আর এখন আবার এইরকম দোষ করবাে না, এই নিশ্চয় (স্থির) করতে হবে। এরকম করেছি। তা ভুল করেছি, এরকম হওয়া উচিৎ হয়নি, আর দ্বিতীয়বার এরকম হবে
, এই প্রতিজ্ঞা করবে। তারপরেও যদি আবার একই দোষ দ্বিতীয়বার হয়ে যায় তাে আবার অনুশােচনা করবে। যত দোষ দেখতে পাবে তার জন্যে অনুশােচনা করলে ততটা কম হয়ে যাবে। এইরকম করতে করতে শেষ পর্যন্ত আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্নকর্তা : কোন ব্যক্তির প্রতিক্ৰমণ কি ভাবে করতে হবে ?
দাদাশ্রী:মন-বাণী-শরীর, ভাবকর্ম-দ্রব্যকর্ম-নােকর্ম, (ওই ব্যক্তির) নাম আর ওর নামের সমস্ত মায়া থেকে পৃথক ওর শুদ্ধাত্মাকে স্মরণ করবে, আর ফের যে ভুল হয়েছে তা মনে করবে (আলােচনা)। ওই ভুলের জন্যে আমার অনুশােচনা হচ্ছে, আর এর জন্য আমাকে ক্ষমা করাে (প্রতিক্ৰমণ), আবার এই ভুল হবে না এরকম দৃঢ় নিশ্চয় করছি, এইরকম স্থির করবে (প্রত্যাখান)। ‘আমি’ স্বয়ং ‘চন্দুভাই’-এর জ্ঞাতাদ্রষ্টা থাকবাে আর জানবাে যে ‘চন্দুভাই' কতটা প্রতিক্রমণ করলাে, কত বার করলাে আর কত সুন্দর করে করলাে।
প্রজ্ঞা ভিতর থেকে সাবধান করে! এটা বিজ্ঞান, সেইজন্যে আমার এর অনুভব হয় আর ভিতর থেকেই সাবধান করে। ওখানে (ক্রমিক মার্গে) তাে আমাকে করতে হয় আর এখানে ভিতর থেকেই সাবধান করতে থাকে।
প্রশ্নকর্তা : এখন ভিতর থেকে সাবধানবাণী আসে, এর অনুভূতি হয়েছে।