________________
আমি কে ?
ঋণানুবন্ধ, ভরতক্ষেত্রের! প্রশ্নকর্তা : সীমন্ধর স্বামীর বর্ণনা করুন।
দাদাশ্রী : সীমন্ধর স্বামীর আয়ু এখন পৌনে দুই লক্ষ বছর। উনিও ঋষভদেব ভগবানের মত। ঋষভদেব ভগবানকে সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের ভগবান বলা হয়। সেই রকমই ইনিও সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের ভগবান। উনি আমাদের এখানে নেই কিন্তু অন্য ভূমিতে, মহাবিদেহ ক্ষেত্রে আছেন যেখানে মানুষ যেতে পারবেনা। জ্ঞানী (ভগবানের কাছে যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে হয় তাে) নিজের শক্তি সেখানে পাঠান, যে জিজ্ঞাসা করে আসে। ওখানে সুল দেহে যাওয়া যায়না, কিন্তু ওখানে জন্ম হলে যাওয়া যায়। যদি এখান থেকে ওখানকার ভূমির উপযুক্ত কেউ হয়ে যায় তাে ওখানে জন্মও হয়।
আমাদের এখানে আড়াই হাজার বছর ধরে তীর্থঙ্করদের আবির্ভাব বন্ধ হয়ে গেছে। তীর্থঙ্কর মানে সর্বশ্রেষ্ঠ, ‘ফুলমুন’ (পূর্ণচন্দ্র)। কিন্তু ওখানে মহাবিদেহ ক্ষেত্রে সব সময়েই তীর্থঙ্কর থাকেন। সীমন্ধর স্বামী ওখানে আজও জীবিত আছেন। আমাদের মতই দেহ আছে, সব কিছু আছে।
(১২) “অক্ৰম-মার্গ ভােলাই আছে!
পরে জ্ঞানীদের বংশাবলী! আমি আমার পরে জ্ঞানীদের পরম্পরা রেখে যাব। আমার উত্তরাধিকারী রেখে যাব আর তার পরে জ্ঞানীদের লিঙ্ক চলতে থাকবে। এই জন্য স-জীবন মূর্তি খুঁজবে। তাকে ছাড়া সমাধান হবে না।
আমি তাে কিছু লােককে নিজের হাতে সিদ্ধি প্রদান করে যাব। পরে কাউকে চাই কি চাই না ? পরের লােকেদের তাে রাস্তার প্রয়ােজন, কিনা ?
যাকে জগৎ মেনে নেবে, তার-ই চলবে! প্রশ্নকর্তা : আপনি বলেন যে আমার জন্যে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার লােক কান্নাকাটি করবে কিন্তু শিষ্য একজন-ও থাকবে না। এর মানে আপনি কি বােঝাতে চান ?