________________
আমি কে ?
এই সাক্ষাতের পিছনে সায়েন্টিফিক সারকামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্স আছে। এইজন্যে আমার সাথে যাদের সাক্ষাৎ হয়েছে তারা অধিকারী বলে গণ্য। যার সাক্ষাৎ হয়নি সে অধিকারী নয়। কিসের আধারে এই সাক্ষাৎ হয় ? ও অধিকারী, এই আধারেই তো আমার সাথে সাক্ষাৎ হয়। আমার সাথে সাক্ষাতের পরও যদি ওর প্রাপ্তি না হয় তো তাহলে ওর অন্তরায় কর্ম বাধারূপে আছে ।
33
ক্রম–তে ‘করার' আর অক্রম-এ....
এক ভাই একবার প্রশ্ন করেছিল যে ক্রম আর অক্রম -এ পার্থক্য কি ? তখন আমি বললাম যে, ক্রম মানে যেমন সবাই বলে, এই উল্টো (ভুল) ছাড়ো আর সোজা (ঠিক) করো। সবাই এটাই বারবার বলে, তারই নাম ক্রমিক মার্গ। ক্রম মানে সবকিছু ছাড়তে বলে। এই কপট, লোভ ছাড়ো আর ভালো করো। এতদিন তুমি এই-ই দেখেছো কি না ? আর অক্রম মানে করার নয়, করোতি-করোসি-করোমি নয়! পকেট কাটা গেলে অক্রম-এ বলবে ‘ও কাটে নি, আর আমার কাটা যায় নি।' আর ক্রম-তে বলে যে ‘ও কেটেছে আর আমার কাটা গেছে।'
এই অক্রমবিজ্ঞান লটারীর মত। লটারীতে পুরস্কার পেলে তার জন্যে কোন পরিশ্রম করতে হয়েছিল কি ? টাকা সে-ও দিয়েছিল আর অন্যরাও দিয়েছিল কিন্তু ও-ই পেয়ে গেল। এইরকমই এই অক্রমবিজ্ঞান, সাথে সাথেই মোক্ষ দিয়ে দেয়, নগদ দেয় !
অক্রম থেকে আমূল পরিবর্তন !
অক্রমবিজ্ঞানকে খুব বড় আশ্চর্য্য বলে। এখানে আত্মজ্ঞান পাওয়ার পরে দ্বিতীয় দিন থেকেই মানুষের মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়। এটা শুনতেই লোকেরা এই বিজ্ঞান স্বীকার করে নেয় আর এখানে আকর্ষিত হয়ে চলে আসে।