________________
আমি কে ?
আত্মা – অনাত্মার মধ্যে ভেদরেখা! এটা অক্রম-বিজ্ঞান, সেইজন্যে এত তাড়াতাড়ি সম্যকত্ব হয়। নয়তাে ক্ৰমিকমার্গে তাে আজ সম্যকত্ব হওয়া সম্ভবই নয়। এই অক্রমবিজ্ঞান তাে খুব-ই উচ্চকোটির বিজ্ঞান। এতে আত্মা আর অনাত্মার মধ্যে মানে তােমার আর পরবস্তু, এই দুইয়ের মধ্যে বিভাজন করে দেয়। ‘এই’ ভাগ তােমার আর ‘এটা তােমার নয়। আর মাঝখানে লাইন অফ ডিমার্কেশন, ভেদরেখা টেনে দিই। তারপরে প্রতিবেশীর ক্ষেতের ঢ্যাঁড়শ আমরা আর খেতে পারবাে কি ?
মার্গ— ‘ক্রম’ আর ‘অক্রম’! তীর্থঙ্কদের যে জ্ঞান তা ক্রমিক জ্ঞান। ক্রমিক অর্থাৎ সিঁড়ির পরে সিঁড়ি চড়া। যেমন –যেমন পরিগ্রহ কম করবে, তেমন-তেমন মােক্ষের কাছে পৌঁছাবে, তাও অনেক সময় লাগবে। আর এই অক্রম-বিজ্ঞান মানে কি ? সিড়ি চড়তে হবে না, সিটে বসে যাও আর বারােতলায় পৌঁছে যাও! এইরকম এই লিফটু মার্গ এসেছে। যে এই লিফটে বসে গেছে তার কল্যাণ হয়ে গেছে। এই লিটে যে বসে গেছে তার সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে ! আমি তাে নিমিত্তমাত্র। সমস্যার সমাধান তাে করতে হবে না কি ? তুমি মােক্ষমার্গের পথিক, ওই লিফটে বসে আছাে তার প্রমাণ তাে হওয়া চাই, না কি চাইনা ? প্রমাণ মানে ক্রোধ মান মায়া লােভ হবে না, আর্তধ্যান-রৌদ্রধ্যান হবে না। মানে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেল না ?
| যে ‘আমার’ সাক্ষাৎ করেছে সেই পাত্র!
দাদাশ্রী: এই মার্গ এত সহজ তাে তাহলে কোন অধিকার (পাত্রতা) দেখার প্রয়ােজন নেই ? সকলের জন্যেই কি এটা সম্ভব ?
প্রশ্নকর্তা : লােকে আমাকে প্রশ্ন করে, আমি কি অধিকারী (পাত্র) ? আমি বলি যে, আমার সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে, এইজন্যে তুমি অধিকারী।