________________
আমি কে ?
| 30
প্রশ্নকর্তা : এত সমস্ত ছাড় পেলে তবে তাে নিশ্চয়ই আত্মাতে থাকতে পারবাে।
দাদাশ্রী : সমস্ত ছাড়! এটা অপবাদ (সাধারণ নিয়মের বাইরে) মার্গ। তােমাকে কিছু পরিশ্রম করতে হবেনা। তােমার আত্মা তােমার হাতে দিয়ে দেব, এরপরে আত্মরমণতাতে থাকো আর এই লিফ্ট-এ বসে থেকো। তােমাকে আর কিছুই করতে হবে না। ফের তােমার কোন কর্মবন্ধনও হবে না। এক জন্মের-ই কর্মবন্ধন হবে, সেও আমার আজ্ঞা পালন করার জন্যে। আজ্ঞায় থাকা এইজন্যে জরুরী যে লিফট-এ বসার সময় যদি হাত এদিক-ওদিক করাে তাে বিপদে না পড়ে যাও !
প্রশ্নকর্তা :মানে এর পরের জন্ম অবশ্যই হবে ?
দাদাশ্রী : আগের জন্ম-ও ছিল আর এখন পরের জন্ম-ও আছে, কিন্তু এই জ্ঞান এমনই যে এর পরে এক-দুই জন্ম-ই বাকী থাকে। প্রথমে অজ্ঞান থেকে মুক্তি হয়, ফের দু-এক জন্মে অন্তিম মুক্তি পেয়ে যাবে। এই কাল এমনই যে এক জন্ম তাে অবশ্যই থাকবে।
| তুমি একটা দিন আমার কাছে এসাে। আমি একটাদিন স্থিরকরবাে, সেদিন তােমাকে আসতে হবে। ওই দিন সবার রঞ্জু পিছন থেকে কেটে দিই (স্বরূপের অজ্ঞানরূপী রজ্জর বন্ধন দূর করে দিই)। রােজ কাটি না, রােজ তাে সৎসঙ্গেরই সমস্ত কথা বলি। কিন্তু একদিন স্থির করি আর ওইদিন ব্লেড দিয়ে এইভাবে রজু কেটে দিই (জ্ঞানবিধিতে স্বরূপজ্ঞান – এর প্রাপ্তি করাই), আর কিছু নয়। ফেরশীঘ্রই তুমি বুঝে যাবে যে এইসব খুলে গেছে। এই অনুভব হলেই সাথে সাথে বলে যে মুক্ত হয়ে গেছি। অর্থাৎ মুক্ত হয়েছে এরকম ভান (বােধ) হওয়া চাই। মুক্ত হওয়া, এটা কোন গল্পকথা নয়। আমি তােমাকে মুক্ত করিয়ে দিই।
| যেদিন এই ‘জ্ঞান’ দিই সেদিন কি হয় ? তােমার যা কর্ম আছে তা জ্ঞানাগ্নিতে ভস্মীভূত হয়ে যায়। দু'ধরণের কর্ম ভস্মীভূত হয়ে যায় আর এক প্রকারের কর্মবাকী থেকে যায়। যে কর্ম বাষ্পরূপে আছে তানাশ হয়ে যায়। যে কর্ম জলরূপে আছে তাও নাশহয়ে যায়। কিন্তু যে কর্ম বরফরূপে