________________
আমি কে ?
আছে তার নাশনয় না। বরফরূপে যে কর্ম আছে তা ভুগতেই হবে; কারণ এই কর্ম জমে কঠিন হয়ে গেছে। যে কর্ম ফল দেওয়ার জন্যে তৈরী হয়ে | গেছে তা তাে ছাড়বে না। কিন্তু জল আর বাষ্পরূপে যেকর্ম আছে তাকে জ্ঞানাগ্নি নষ্ট করে দেয়। এইজন্যে জ্ঞান পেতেই লােক একদন হাল্কা হয়ে যায়, তার জাগৃতি বেড়ে যায়। যতক্ষণ কর্ম ভস্মীভূত না হচ্ছে ততক্ষণ জাগৃতি বাড়ে না। বরফের মত কঠিন যে কর্ম তা তােমাকে ভুগতে হবে। আর তাও সহজভাবে (কম কষ্টে) কেমন করে ভুগতে হবে তারও সব উপায় আমি বলে দিচ্ছি যে, ‘ভাই, এই ‘দাদা ভগবানের অসীম জয়জয়কার হােক’ বলবে, ত্রিমন্ত্র বলবে, নয় কলম বলবে।'
আমি জ্ঞান দিই, এতে কর্ম ভস্মীভূত হয়ে যায় আর সেইসময় অনেক আবরণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন ভগবানের কৃপা হওয়ার সাথে ও স্বয়ংই জাগৃত হয়ে যায়। ওই জাগৃতি আর যাবে না। জাগার পরে আর চলে যায় না; নিরন্তর জাগৃত থাকতে পারে। মানে নিরন্তর প্রতীতি থাকবেই। প্রতীতি কখন থাকবে ? জাগৃতি হলে তবেই প্রতীতি থাকে। প্রথমে জাগৃতি, তারপরে প্রতীতি। ফের অনুভব, লক্ষ্য আর প্রতীতি এই তিন-ই থাকবে। প্রতীতি সমস্ত সময়ের জন্যে থাকবে। লক্ষ্য তাে কখনাে কখনাে থাকবে। কোন ব্যবসা বা কোন কাজে লেগে গেলে লক্ষ্য চলে যাবে, আবার কাজ শেষ হলেই লক্ষ্যে ফিরে আসবে। আর অনুভব তখনই হবে যখন কাজ থেকে, সমস্ত কিছু থেকে নিবৃত হয়ে একান্তে বসে আছাে তখন অনুভবের স্বাদ আসবে। আর অনুভব তাে ক্রমশঃ বাড়বেই। কারণ আগের চন্দুলাল কি ছিল আর আজকের চন্দুলাল কি হয়েছে তা বুঝতে পারবে। তাে এই পরিবর্তন কিভাবে আসে ? আত্মা অনুভব থেকে। আগে দেহাধ্যাসের অনুভব ছিল আর এখন এই আত্ম-অনুভব আছে।
প্রশ্নকর্তা : আত্মার অনুভব হয়ে গেলে কি হয় ?
দাদাশ্রী : আত্মার অনুভব হয়ে গেছে মানে দেহাধ্যাস চলে গেছে। দেহাভ্যাস চলে গেছে মানে কর্ম-বন্ধন হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আর কি চাই ?