________________
আমি কে ?
অনেকে আছেন কিন্তু আত্মার জ্ঞানী নেই। যিনি আত্মার জ্ঞানী হবেন তিনি তো পরম সুখী হবেন, তাঁর কণামাত্রও দুঃখ থাকবে না। সেইজন্য তাঁর কাছে গেলে নিজের কল্যাণ হয়। যিনি স্বয়ং নিজের কল্যাণ করে বসে আছেন, তিনিই আমাদের কল্যাণ করতে সক্ষম। যিনি নিজে পার হয়ে গেছেন তিনি আমাদের পার করতে পারেন। যে নিজেই ডুবে যাচ্ছে, সে কখনও পার করতে পারবে না ।
(১০) ‘দাদা ভগবান' কে ?
‘আমি’ আর ‘দাদা ভগবান', এক নয় রে !
37
প্রশ্নকর্তা : তো আপনাকে ভগবান কেন বলে ?
দাদাশ্রী : আমি স্বয়ং ভগবান নই। ভগবানকে, ‘দাদা ভগবান'কে তো আমিও নমস্কার করি। আমি নিজে তিনশো-ছাপ্পান্ন ডিগ্রীতে আছি আর ‘দাদা ভগবান' তিনশো ষাট ডিগ্রীতে বসে আছেন। আমার চার ডিগ্রী কম আছে, এইজন্যে আমি দাদা ভগবানকে নমস্কার করি।
প্রশ্নকর্তা : সেটা কিসের জন্যে ?
দাদাশ্রী : কারণ আমাকে তো চার ডিগ্রী পুরো করতে হবে। হবে তো, না কি ? চার ডিগ্রী কম থেকে গেছে, পাস করতে পারিনি কিন্তু পাস না করলে মুক্তি পাব কি ?
প্রশ্নকর্তা : আপনার ভগবান হওয়ার মোহ আছে কি ?
দাদাশ্রী : আমার তো ভগবান হওয়া বোঝার মত লাগে। আমি তো লঘুতম পুরুষ। এই জগতে আমার থেকে লঘু কেউ নেই, এরকম লঘুতম আমি। ভগবান হওয়া আমার বোঝাস্বরূপ মনে হয়, উল্টে লজ্জা করে।
প্রশ্নকর্তা : ভগবান হতে চান না তো তাহলে এই চার ডিগ্রী পুরো করার পুরুষার্থ কি জন্যে করতে হবে ?
দাদাশ্রী : ও তো মোক্ষে যাওয়ার জন্যে। আমি ভগবান হয়ে কি করবো ? ভগবান মানে তো, ভগবান গুণ যাঁরা ধারণ করেন তাঁরা সবাই