________________
আমি কে ?
24
‘ছুটে দেহাধ্যাস তাে নহি কর্তা তু কর্ম, (দেহাধ্যাস গেলে কর্ম-এর কর্তা তুমি নও)। নহি ভােক্তা তু ইসকা, এহি ধর্মকা মর্ম (তুমি এর ভােক্তানও, ধর্মের এটাই মর্ম)।
—শ্রীমদ্ রাজচন্দ্র এখন তুমি আমি চন্দুলাল’ এরকম মনে ধারণা করে বসে আছ, সেইজন্যে সব একাকার হয়ে গেছে। ভিতরে দুটি বস্তু আলাদা আছে। তুমি আলাদা, চন্দুলাল আলাদা। কিন্তু তুমি যতক্ষণ এটা না জানছাে ততক্ষণ কি হবে ? জ্ঞানী পুরুষ ভেদ-বিজ্ঞান দিয়ে আলাদা করে দিলে যখন ‘তুমি’ (চন্দুলাল’ থেকে) আলাদা হয়ে যাবে তখন তােমাকে আর কিছু করতে হবেনা, সব ‘চন্দুলাল' করবে।
(৬) ভেদজ্ঞান কে করায় ?
আত্ম-অনাত্মার বৈজ্ঞানিক বিভাজন! যেমন এই আংটিতে সােনা আর তামা দুই মিশে আছে। একে আমি গ্রামে নিয়ে গিয়ে কাউকে যদি বলি যে, 'ভাই, আলাদা-আলাদা করে দিন তাে যে কেউ কি করে দিতে পারবে ? কে করতে পারবে ?
প্রশ্নকর্তা : স্বর্ণকার-ই করতে পারবে।
দাদাশী: এটা যার কাজ, যে এতে এক্সপার্ট, সেই সােনা আর তামা দুই-ই আলাদা করে দেবে। শতকরা একশাে ভাগ শুদ্ধ সােনা আলাদা করে দেবে কারণ ও দু’টোর-ই গুণধর্ম জানে যে সােনার গুণধর্ম এই আর তামার গুণধর্ম এই। সেইরকম জ্ঞানীপুরুষ আত্মার গুণধর্ম জানেন আর অনাত্মার গুণধর্ম-ও জানেন।
আংটিতে সােনা আরতামা ‘মিক্সচার’ রূপে থাকে বলে এদের আলাদা করা যায়। সােনা আর তামা কম্পাউণ্ড স্বরূপে থাকলে তাদের আর আলাদা করা যেত না। কারণ সেক্ষেত্রে গুণধর্ম অন্য প্রকারের হয়ে যেত।