Book Title: Vardhaman Mahavira Author(s): Ganesh Lalwani Publisher: Ganesh Lalwani View full book textPage 4
________________ তাই বাঙলা ভাষায় বর্ধমান মহাবীরের জীবন কথা লেখবার ইচ্ছা বহুদিন থেকেই ছিল। কাজও আরম্ভ করি। সে আজ যােল বছর আগের কথা। তখন কেবলমাত্র পূর্বাশ্রম ও সাধকজীবন লেখা হয়, তীর্থংকর জীবন নয়। সেই অপূর্ণ লেখা ‘ভারতের সাধকে’র লেখক শ্ৰীশঙ্করনাথ রায় তাঁর ‘হিমাত্রি' পত্রিকায় প্রকাশিত করেন। তারপর কয়েক বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায়। ইতিমধ্যে আমার লিখিত জৈন কথানক সংগ্রহ ‘অতিমুক্ত প্রকাশিত হয়। সেই ক্ষুদ্র গ্রন্থখানি পড়ে প্রখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ও সদালেহশীল এদ্ধেয় ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয় অযাচিতভাবে আমায় এক পত্র দেন। তাতে লেখেন— “আপনার এই ক্ষুদ্র কিন্তু অতিসুন্দরভাবে প্রাঞ্জল বাংলায় লিখিত ‘অতিমূক্ত’ বইখানি বােধহয় রসােত্তীর্ণ জৈন উপাখ্যান সাহিত্যকে বিদগ্ধ-জন-সমাজে পরিচিত করিয়া দিবার প্রথম প্রয়াস। এইরূপ আরও—অন্ততঃ আবও কতকগুলি বই আপনার কাছ থেকে আমরা চাই। আপনি প্রথমেই এইরূপ উপাখ্যানধর্মী একখানি ‘মহাবীর চরিত’ আমাদের দান করুন।”•••সুনীতিবাবুর এই উৎসাহবাণী আমায় অসমাপ্ত লেখাটি পূর্ণ করবার প্রেরণা দেয়; কিন্তু তীর্থংকর জীবন লেখা হয় তারও দু’বছর পর ‘মণ’ পত্রিকার তাগিদে। এমণে ১৯১৯ এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বইটি প্রকাশিত হয়। ১৯১৯ থেকে ৮০ নিশ্চয়ই খুব দীর্ঘ সময় নয় কিন্তু তার মধ্যে একে পুস্তকাকারে প্রকাশিত করা সম্ভব হয় নি। হয় ত আজও সম্ভব হত না যদি না বন্ধুবর শ্রীতুলসী দাস এর প্রকাশের জন্য আগ্রহী হয়ে করুণা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী বামাচরণ মুখােপাধ্যায় মহাশয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিতেন এবং যদি না বামাচরণবাবু সাগ্রহে এর প্রকাশের ভার গ্রহণ করতেন। তাই এই গ্রন্থ প্রকাশের জন্য আমি তাদের উভয়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী। | আশা করি এই গ্রন্থ বর্ধমান মহাবীরের জীবন ও জৈনধর্ম সম্বন্ধে বাঙালী পাঠককে আগ্রহী করবে। গণেশ লালানীPage Navigation
1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 ... 207