________________
জ্ঞানীপুরুষের পরিচয় প্রশ্নকর্তা ও জ্ঞানীপুরুষকে কেমন করে চিনব? | দাদাশ্রী ও জ্ঞানীপুরুষ তাে কোন কিছু না করেই চেনা যায় এমনই হন। ওনার বাতাবরনই অন্যরকম হয়। ওনার সুগন্ধ থেকে, শব্দ থেকে চেনা যায়। ওনার চোখ দেখলেও চেনা যায়। জ্ঞানীর বিশ্বাসযােগ্যতা থাকে, প্রচন্ড বিশ্বাসযােগ্যতা।
যদি বুঝতে পারাে তাে ওনার প্রত্যেকটা শব্দই শাস্ত্রস্বরূপ, ওনার বাণী, কাজ আর বিনয় মনােহর হয়, মনকে হরণ করে নেয়। এইরকম জ্ঞানীকে চেনার অনেক লক্ষণ আছে।
| জ্ঞানীপুরুষ অবুধ (যার বুদ্ধির কোন উপযােগ নেই) হন। যিনি আত্মার জ্ঞানী তিনি তাে পরম সুখী - তার মধ্যে বিন্দুমাত্রও দুঃখ থাকে না। এইজন্য তার কাছে নিজের কল্যাণ হয়। যিনি নিজের কল্যাণ করতে পেরেছেন তিনিই অন্যের কল্যাণ করতে সক্ষম। যিনি নিজে সাঁতার কাটতে পারেন তিনিই তাে কাউকে কিনারায় পৌঁছাতে পারবেন। এখানে তাে লক্ষ লােক সাঁতরে পার হয়ে যায়।
শ্রীমৎ রাজচন্দ্রজী জ্ঞানীপুরুষের সংজ্ঞায় বলেছেন, জ্ঞানীপুরুষ তাকেই বলা যায় যাঁর কোন কিছুর প্রতি কিঞ্চিৎমাত্রও স্পৃহা নেই; জগতের কোন বস্তুর প্রতি যাঁর বিন্দুমাত্রও আকাঙ্খা নেই, শিষ্য করারও ইচ্ছে নেই উপদেশ দেওয়ারও ইচ্ছে নেই, কোন রকম গর্ব নেই অহংকার নেই কোন রকম কর্তাভাব নেই।
৭. জ্ঞানীপুরুষ -এ. এম. প্যাটেল (দাদাশ্রী) ‘দাদাভগবান’ যিনি চৌদ্দ লােকের নাথ তিনি আপনার মধ্যেও আছেন কিন্তু অপ্রকট রূপে। আপনার মধ্যে অব্যক্ত রূপে আছেন আর এখানে উনি ব্যক্ত হয়েছেন। যিনি ব্যক্ত হয়েছেন, প্রকট হয়েছেন তিনিই ফল দিতে পারেন। একবারও যদি ওনার নাম নাও তাে কাজ হয়ে যাবে - এমনই। আর চিনে বললে কল্যান হবে, সাংসারিক বাধাবিপত্তি দূর হয়ে যাবে।
এখানে যাঁকে দেখা যাচ্ছে তিনি দাদাভগবান’ নন। আপনি যাকে দেখছেন। তঁাকেই ‘দাদাভগবান’ বলে মনে করছেন? কিন্তু যাঁকে দেখছেন তিনি ভাদ্রনএর প্যাটেল। আমি ‘জ্ঞানীপুরুষ' আর ভিতরে যিনি প্রকট হয়েছেন তিনি-ই ‘দাদাভগবান’। আমি নিজে ভগবান নই। আমার ভিতরে প্রকট ‘দাদাভগবান'
| [ ১১ ]