________________
ত্রিমন্দির নির্মাণের প্রয়ােজন যখন কোন মূলপুরুষ যেমন শ্রী মহাবীর ভগবান, শ্রী কৃষভগবান, শ্রী রামচন্দ্রজী ভগবান সশরীরে বর্তমান থাকেন তখন তারা ধর্মসম্বন্ধীয় মতমতান্তর থেকে বের করে লােকেদের আত্মধর্মে স্থির করেন। কালক্রমে এঁদের অনুপস্থিতিতে আস্তে আস্তে মতভেদের কারণে ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন গােষ্ঠী। সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয় এবং পরিনামস্বরূপ সংসারে সুখ-শান্তি ক্রমশঃ লােপ পায়। | অক্রমবিজ্ঞানী পরমপূজনীয় শ্রী দাদাভগবান লােকেদের আত্মধর্ম তাে প্রাপ্তি করিয়েছেন তার সাথে ধর্মের ‘তুই-তুই, আমি-আমি’ ঝগড়া দূর করার আর সংকীর্ণ ধার্মিক পক্ষপাতিত্বের দুরাগ্রহের বিপদ থেকে বাঁচানাের জন্যে এক অদ্ভুত ক্রান্তিকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন সম্পূর্ণ নিপক্ষপাতী ধর্মসংকুলএর নির্মাণ করে।
মােক্ষ-এর ধ্যেয়-এর পূর্ণাহুতির জন্য শ্রী মহাবীরস্বামী ভগবান জগতকে আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির পথ দেখিয়েছিলেন। শ্রীকৃষভগবান গীতা-য় অর্জুনকে উপদেশরূপে ‘আত্মবৎ সর্বভূতেষু’ - এই দৃষ্টি প্রদান করেছিলেন। জীব আর শিব-এর ভেদ চলে গেলে আমরা নিজেরাই শিবস্বরূপ হয়ে ‘চিদানন্দরূপং শিবােহং শিবােহং’ দশা প্রাপ্ত করি। সমস্ত ধর্মের মূলপুরুষের তান্তরে আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির কথাই ছিল। এই কথা যে বুঝবে তার পুরুষার্থ এখান থেকেই শুরু হয় আর জীবমাত্রকে আত্মদৃষ্টিতে দেখলে অভেদতা উৎপন্ন হয়। কোন ধর্মের খন্ডন-মন্ডন না হয়, কোন ধর্মের প্রতি বিন্দুমাত্র আঘাত না পৌঁছায় এইরকম ভাবনা নিরন্তর থাকে।।
পরম পূজনীয় দাদাভগবান (দাদাশী) বলতেন যে, জ্ঞাতসারে বা তাজ্ঞাতসারে কারাের কোনরকম বিরাধনা (অসম্মান) হয়ে গেলে তার বা তাদের আরাধনা করলে সমস্ত বিরাধনা ধুয়ে যায়। এইরকম নিপক্ষপাতী ত্ৰিমন্দির সঙ্কুলে প্রবেশ করে সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তির সামনে যখন নতমস্তক হওয়া যায় তখন ভিতরের সমস্ত জেদ, দুরাগ্রহ, ভেদভাবে ভরা সমস্তরকম মান্যতা নষ্ট হতে
| [ ৫০ ]