________________
| হিসাব। লােকে তাে যে গালি দিয়েছে তাকেই দোষী বলে আর সেইজন্যেই এত ঝগড়া।
সারাদিন যতজনের সাথে যত ব্যবহার আপনার হয়েছে তার মধ্যে যদি কারাের সাথে ব্যবহার উল্টো (খারাপ) হয়ে যায় তাহলে কি আপনি সেটা বুঝতে পারবেন না? আমরা যে সাধারন ব্যবহার করি সেটা ক্রমণ। ক্রমণ মানে সাংসারিক ব্যবহার। কিন্তু যদি কারাের সাথে কর্কশ ব্যবহার করেন বা কারাের প্রতি কোন অন্যায় করেন, কারাের ক্ষতি করেন তাহলে সেটা তাে বােঝা যায় নাকি যায় না? এইরকম ব্যবহারকে অতিক্ৰমণ বলে।
| অতিক্ৰমণ মানে উল্টো রাস্তায় চলা। যতটা উল্টো চলা হয়েছে ততটাই সােজা ফিরলে তাকে বলে প্রতিক্ৰমণ।
প্রতিক্ৰমণ-এর যথার্থ বিধি প্রশ্নকর্তা ও প্রতিক্ৰমণ-এ কি করতে হবে?
দাদাশ্রী ও মন-বচন-কায়া, ভাবকর্ম-দ্রব্যকর্ম-নােকর্ম, চন্দ্রলাল (***এই জায়গায় যার প্রতি তিক্রমণ হয়েছে তার নাম বলবেন) এবং চন্দ্রলাল-এর নাম-এর সর্বময়া থেকে ভিন্ন এমন এঁর শুদ্ধাত্মাকে মনে করে বলবেন ‘হে শুদ্ধাত্মা ভগবান! আমি রূঢ়ভাবে কথা বলেছি, এটা ভুল হয়ে গেছে এইজন্যে ক্ষমা চাইছি, এই ভুল আর হবে না এরকম নিশ্চয় করছি, এই ভুল আর না হয় আমাকে এমন শক্তি দিন। শুদ্ধাত্মাকে’-কে বা দাদাকে মনে করে বলুন ‘এটা ভুল হয়ে গেছে'-একে বলে আলােচনা; এই ভুলকে ধােয়া মানে প্রতিক্ৰমণ আর এরকম ভুল আর কখনও হবে না এই নিশ্চয় করা-এটা প্রত্যাখ্যান। কারাের কোন ক্ষতি করলে বা কাউকে দুঃখ দিলে যেসব অতিক্ৰমণ তার সাথে সাথেই আলােচনা, প্রতিক্ৰমণ আর প্রত্যাখ্যান করতে হবে।।
[ ৪৮ ]